|
|
|
|
পাল্টা শ্লীলতাহানি, ফের বনধ মণিপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
শ্লীলতাহানির পাল্টা শ্লীলতাহানি। বনধের বদলা বনধ। বড়দিন ভালয় ভালয় কেটে গেলেও আজ থেকে ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। মণিপুরি অভিনেত্রী মোমোকোর শ্লীলতাহানি করে নাগা জঙ্গিকে গ্রেফতার করার দাবিতে আজ মধ্যরাত থেকে ফের অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ ডেকেছে মণিপুর ফিল্ম ফোরাম ও সুমং লীলা পরিষদ। অন্য দিকে, বড়দিনের আগের রাতে মণিপুরি জঙ্গিরা একটি নাগা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন অভিযুক্ত জঙ্গিকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও জনরোষ মেটেনি।
ঘটনার প্রতিবাদে পার্বত্য মণিপুরে ৭২ ঘণ্টার বনধ ও অর্থনৈতিক অবরোধ ঘোষণা করেছে ইউনাইটেড নাগা কাউন্সিল। এক শ্লীলতাহানির ধাক্কা সামলানোর আগেই আরও এক শ্লীলতাহানির ঘটনা মণিপুর পুলিশ ও প্রশাসনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে।
মোমোকোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফোরাম ও সুমং লীলা পরিষদ ২১ ডিসেম্বর থেকে যে বন্ধ ডেকেছিল তার তিনটি দিনেই হিংসা, রক্তপাত, আগুন ও অবরোধ চলেছে সমান তালে। প্রতিবাদকারী ও পুলিশ মিলিয়ে অর্ধাশতাধিক লোক জখম হন। পুলিশের গুলিতে মারা যান দূরদর্শনের হয়ে ছবি তুলতে আসা সাংবাদিক দ্বিজমণি। নাগাদের অনুরোধে, বড়দিন উপলক্ষে গত কাল ও আজ বন্ধ স্থগিত রাখা হয়েছিল। কিন্তু শ্লীলতাহানি ঘটানো নাগা জঙ্গি নেতা লিভিংস্টোন গ্রেফতার না হওয়ায় ফের আজ রাত থেকে বন্ধ শুরু হয়েছে।
অন্য দিকে, ২৪ ডিসেম্বর রাতে পূর্ব ইম্ফলে ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বার নাগারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মণিপুরি জঙ্গিদের দিকে। তাঁদের অভিযোগ, সেনাপতির রিসিপং গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি ফেরার সময় নাপেত পল্লিতে, তিনজন কেসিপি জঙ্গি তাঁদের পথ আটকায়। বাকিদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে, জঙ্গিরা একটি মেয়েকে জনহীন স্থানে নিয়ে যায়।
ওই ছাত্রীর বান্ধবী ও প্রত্যক্ষদর্শী আসামলা সিরো বলেন, “মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয় মেইরা পইবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। আমরাও অন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে ফিরে আসি। তখন জঙ্গিরা ভয় পেয়ে, বান্ধবীকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। জঙ্গিদের মধ্যে একজন ছিল কর্নেল।”
তদন্তে নেমে দ্রুত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রছাত্রীদের দল তাদের শণাক্ত করে। তাদের মোবাইলগুলিও ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, ঘটনার জেরে পবিত্র বড়দিন অশান্তির মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয়েছে তাঁদের। এমন ঘটনা তাই সহ্য করা হবে না।
সেনাপতি জেলার সইকুলে আজ ১০টি নাগা গ্রামের বাসিন্দারা এ নিয়ে প্রতিবাদ সভা করেন। ধৃতদের চরম শাস্তি দেওয়ার দাবিতে, পার্বত্য মণিপুরের নাগা গোষ্ঠীরা সকলে মিলে আগামি কাল থেকে তিন দিনের বনধ ডাকে। ঘোষণা হয়েছে, ৭২ ঘণ্টা পার্বত্য মণিপুর হয়ে কোনও যান ও পণ্য চলাচল করতে দেওয়া হবে না। |
|
|
|
|
|