নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দেশের এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতি বিচার করে আগামী পাঁচ বছরে আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমাতে চাইছে যোজনা কমিশন।
দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী যোজনার (২০১২-’১৭) খসড়া নথিতে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার তৎপর হলে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি ভাল থাকলে বৃদ্ধির হার ৮.২ শতাংশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু আজ যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারপার্সন মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়াই জানান, আগামিকাল জাতীয় উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে তিনি এই হার কমিয়ে ৮ শতাংশে নিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করবেন। একাদশ যোজনায় এই হার ছিল ৭.৯%।
দ্বাদশ যোজনায় আর্থিক বৃদ্ধির হার এই নিয়ে দ্বিতীয় বার কমিয়ে আনতে চাইছে যোজনা কমিশন। প্রথমে বৃদ্ধির হার ৯% থাকবে বলে ধরা হয়েছিল। মন্টেকের যুক্তি, অক্টোবরে দ্বাদশ যোজনার খসড়া নথি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছিল। তার পরে অর্থ মন্ত্রকের ষাণ্মাষিক সমীক্ষাতেই বলা হয়েছে চলতি অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৭ থেকে ৫.৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে। যা এক দশকে সব থেকে কম। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করে কমিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, জাপানের সঙ্কট এখনও কাটেনি। মন্টেক বলেন, “দ্বাদশ যোজনার প্রথম বছরে যদি আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৭% হয় এবং আগামী বছর তা বেড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছলেও পাঁচ বছরে গড় বৃদ্ধির হার ৮.২% রাখতে শেষ তিন বছরে ৯ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি প্রয়োজন। সেটা বেশি আশা করা হয়ে যাবে।” যোজনা কমিশনের দাবি, বৃদ্ধির হার ০.২% কম হলে উন্নয়ন খাতে বিরাট ঘাটতি হবে না। বরং এর জন্যও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, নীতিপঙ্গুত্ব কাটিয়ে সংস্কার এবং রাজকোষ ঘাটতিতে রাশ টানা দরকার বলে মনে করালেন মন্টেক। |