আধিকারিক নিয়মিত না আসায় দুবরাজপুর রেজিষ্ট্রি অফিসে সাধারণ মানুষ ও দলিল লেখকদের অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে মূলত এই অভিযোগে বুধবার ওই অফিসের কর্মীদের বাইরে বের করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলিল লেখেকেরা।
দলিল লেখক বরুণ চট্টোপাধ্যায়, শেখ আনোয়ার, আশিস মাহাতাদের অভিযোগ, “সাব রেজিস্ট্রার মাঝে মাঝে আসছেন না। ফলে এক দিকে যেমন সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করাতে এসে ঘুরতে হচ্ছে দূর থেকে আসা মানুষজনকে, তেমনই দলিল লেখার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় আমাদের রুজিরুটিতেও টান পড়ছে।” |
দুবরাজপুর দলিল লেখক সমিতির সম্পাদক সুজিত গোপ বলেন, “বুধবারও যাঁরা রেজিষ্ট্রি করাতে এসেছিলেন, তাঁরা চলে যেতে বাধ্য হলেন। আমরা মোট ১৯ জন দলিল লেখক রয়েছি। সবাইকে আজ বসে থাকতে হল। তা ছাড়া দুবরাজপুর রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে রাজস্ব কম আয় হচ্ছে বলে একটা অভিযোগ আছে। আমরা জেলা আধিকারিককে ফোনে বিষয়টি জানিয়েছি।”
দুবরাজপুরের সাব রেজিস্ট্রারের সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি। তবে বীরভূম জেলা রেজিস্ট্রার কিরণশঙ্কর সরকার বলেন, “অভিয়োগ ঠিক নয়। দুবরাজপুরের ওই আধিকারিক বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। বুধবার যে তিনি আসবেন না, সে কথা আমাকে না জানালেও ওই অফিসের এক কর্মীকে জানিয়েছেন। দলিল লেখকেরা যা করেছেন, সেটা ঠিক নয়। ওঁরা আগে আমাকে জানালে একটা বিকল্প ব্যবস্থা করা যেত।” |