আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি হল ১১৮তম পৌষমেলার। বুধবার ছিল এই মেলার শেষ দিন। চার দিন ধরে বিশ্বভারতীর এই পৌষ উৎসবে সামিল হয়েছেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা বিভিন্ন পর্যটক ও রবীন্দ্রনুরাগীরা। হয়তো কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে গ্রামীণ হস্ত ও কুটির শিল্পকে আরও বেশি করে প্রাধান্য দেওয়ার উদ্যোগ। তিন দিনের পৌষ উৎসব অন্যান্য বারের মতো এ বারও এক দিন বাড়িয়েছেন উদ্যোক্তারা। জল বিদ্যুৎ-সহ অন্যান্য পরিষেবা বুধবারও পেয়েছেন স্টলদাতারা। বিনোদনমঞ্চে লোকসংস্কৃতির আসর ভাঙার মুখে। বাউল, ফকিররা ফিরেছেন অন্য ঠিকানায়। যুব প্রজন্মের চেতনা জাগাতে বেদ্যবাটি উৎসব মেলা কমিটি ‘রবীন্দ্রনাথ ও নেতাজি সুভাষ’ বিষয়ক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। কমিটির পক্ষে নরেন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “মণীষীদের আদর্শ যুব প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। |
বিনোদন মঞ্চে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতি ছাড়া অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার শতাব্দী প্রাচীন পৌষ উৎসব সুষ্ঠুভাবেই মিটেছে বলে দাবি পুলিশ ও মেলা উদ্যোক্তাদের। উৎসবে সামিল হয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, লোকসভার অধ্যক্ষ ও মন্ত্রীরাও।
পৌষমেলা উদ্যোক্তাদের পক্ষে বিশ্বভারতী কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম সম্পাদক সৌগত সামন্ত বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এ বারের উৎসব থেকে কিছু বিষয় আমাদের সামনে উঠে এসেছে। আগামী উৎসবের সময়ে ওই সব বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পৌষমেলায় অসামাজিক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় দু’শো জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “ সিসিটিভি থেকে সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন রেখে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। প্রায় দু’শো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” |