|
|
|
|
মাঠ ঘেরা নিয়ে বচসা, উত্তেজনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
কলেজের মাঠ ঘেরা নিয়ে প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বচসার জেরে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার দুপুরে মালদহের চাঁচলে ঘটনাটি ঘটে। মহকুমা প্রশাসনের নির্দেশে এ দিন পুলিশ কাজ বন্ধ করতে কলেজ চত্বরে গেলে ভূমি সংস্কার দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্ররা। ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে দুপুর থেকে ওই ঘেরাও আন্দোলন চলে। যদিও ওই মাঠ নিয়ে মামলা চলছে জানানোর পরেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করেননি বলে অভিযোগ করেন ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তারা। এ দিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, মাঠটি কলেজ মাঠ বলে রেকর্ড আছে।
চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “রাজ্য জুড়ে ভূমি সংস্কার দফতর সিলিং বহির্ভূত জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে। ওই মাঠটিও সেই মামলার আওতায় রয়েছে। আগামী বছর ৩ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট মালিককে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে। ততদিন কাজ বন্ধ রাখতে বলা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ না শোনায় পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “আলোচনায় বসে সমস্যা মেটাতে হবে। সেভাবেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
চাঁচল কলেজের সামনে ওই মাঠের একদিকে আদালত, অন্যদিকে মহকুমাশাসকের দফতর। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঠটি সংরক্ষণের জন্য ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য চাঁচলের কংগ্রেস বিধায়ক সাত লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কংক্রিটের খুঁটি তুলে পাইপ দিয়ে মাঠ ঘেরার কাজ চলছে। মাঠে ঢোকার জন্য তিনটি বড় ফটক এবং ৬টি ছোট গেট রাখা হচ্ছে। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাহুল আমিন বলেন, “নিজের মাঠ কলেজ ঘিরে ফেলবে তাতে সমস্যা কোথায় বুঝছি না। অযথা মামলার কথা বলে সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে।” কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, রাজবাড়ির একাংশে রয়েছে কলেজ। মাঠটি কলেজকে দান করে রাজ পরিবার। মাঠের দক্ষিণে মহকুমাশাসকের দফতর গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি রাজবাড়ির বাকি অংশে আদালত চালু হয়েছে। নির্বাচনের কাজ ছাড়াও আদালত ও মহকুমাশাসকের দফতরে আসা অসংখ্য গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় মাঠ বেহাল হয়ে পড়েছে।
প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তাদের অভিযোগ, ওই মাঠ নিয়ে খাস জমির মামলা চলছে। এই সময়ে মাঠের চরিত্র যেন না পাল্টায় সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ফল হয়নি। ভূমি সংস্কার দফতর একাধিক নির্দেশ পাঠালেও কাজ বন্ধ হয়নি। তাই ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। চাঁচল-১ ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক তাপস কুমার বলেন, “মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাঠে কিছু করা বেআইনি। সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। লাভ হয়নি।” |
|
|
|
|
|