|
|
|
|
শিলিগুড়িতে কলেজে গোলমাল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মদ্যপ অবস্থায় কলেজে হুল্লোড় করার অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে এসএফআইয়ের সদস্য দুই যুবকের মারামারিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার দুপুর শিলিগুড়ি সংলগ্ন এনজেপি পুলিশ ফাঁড়ির সূর্য সেন কলেজে। ঘটনায় কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে তৃণমূল সদস্যরা নিগৃহীত করেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের জেরে কলেজের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ বর্ধন সহ দু’জন জখম হয়েছেন। পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় গণ্ডগোলের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। টিএমসিপির অভিযোগ, মদ্যপ দু’জন এসএফআই সদস্য। এসএফআইয়ের দাবি, তাদের সঙ্গে এসএফআইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
সূর্য সেন কলেজের অধ্যক্ষ সুব্রত দেবনাথ বলেন, “দুই যুবক মদ্যপ অবস্থায় গণ্ডগোল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমিও দু’জনের মুখ থেকে মদের গন্ধ পেয়েছি। একজন আমাদের কলেজের ছাত্র বলে চিনতে পেরেছি। কলেজের সাধারণ সম্পাদক আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি পুলিশকে জানিয়েছি।” ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির সহকারি পুলিশ কমিশনার প্রদীপ পাল। তিনি বলেন, “দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, ওই দুই যুবক এ দিন কলেজের ভেতরে মদের আসর বসিয়েছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে কলেজের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ এবং টিএমসিপি সদস্যরা বাধা দেয়। সে সময় তারা প্রকাশকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই যুবকদের এক বোন কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, টিএমসিপি সদস্যরা তাঁর দুই দাদাকে ব্যপক মারধর করে। লাঠি দিয়ে মারধর করার সময় সে গিয়ে বাধা দেয়। সে সময় কলেজের সাধারণ সম্পাদক ও আরও একজন টিএমসিপি সমর্থক তাঁকে মারধর করে। পাপাইয়ের স্ত্রী গেলে তাঁকেও টিএমসিপি সমর্থকরা মারধর করে বলে অভিযোগ।
টিএমসিপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় দাবি করেন, তাঁরা কোনও ছাত্রী বা মহিলাকে মারধর করেননি। তিনি বলেন, “কলেজে মদ খেতে দেখে আমাদের সদস্যরা অধ্যক্ষকে বিষয়টি জানায়। তাতে রাগ হয়ে সাধারণ সম্পাদককে মারধর করা হয়। আমাদের সমর্থকরা দু’জনকে ঘেরাও করে রাখে।” এসএফআইয়ের দার্জিলিং জেলা সভাপতি সৌরভ সরকার দাবি করেন, গণ্ডগোলের ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত নন। ছাত্র পরিষদের দার্জিলিং জেলা সভাপতি অমিত তালুকদার বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় কলেজে আসা আমরা সমর্থন করি না। কিন্তু ছাত্রীকে মারধর করা মেনে নেওয়া যায় না।” |
|
|
|
|
|