|
|
|
|
রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলন তৃণমূলের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এ বার রেলের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল তৃণমূল। সোমবার রেলের খাবার সরবরারকারী ঠিকাদারদের সহায়কদের উচ্ছেদ নোটিশ ধরানোর প্রতিবাদে দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রেলের এনজেপি এরিয়া ম্যানেজারের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সদস্যরা। স্মারকলিপি দিতে গিয়ে এরিয়া ম্যানেজারকে নেতারা সতর্ক করে জানালেন, আরএফপিএফ দিয়ে সহায়কদের উচ্ছেদের চেষ্টা হলে রুখে দাঁড়াবে তৃণমূল। রেলের এনজেপি এরিয়া ম্যানেজার পার্থ শীল বলেন, “অনুমতি ছাড়া ওই স্টলগুলি চলছে বলেই রেলের তরফে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন। সেখানে সব জানানো হবে।”
তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মহাসচিব কৃষ্ণ পাল দাবি করেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে রেলের খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারদের সহায়করা এনজেপিতে রয়েছেন। সেখানে স্টল থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে। তিনি বলেন, “কোনওরকম পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে সহায়কদের উচ্ছেদ করা হলে তারা পরিবার নিয়ে পথে বসবেন। এ রকম হঠকারি সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।” ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ নন্দী বলেন, “আরপিএফ দিয়ে সহায়কদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা হলে রুখে দেওয়া হবে।”
রেল সূত্রের খবর, একটি বেসরকারি সংস্থাকে রেলের খাবার সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়ার পর সহায়কদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা মুকুল রায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় দু’দফায় এনজেপি থেকে ভেন্ডার হেল্পারদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশ দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিছুদিন আগে উত্তর-পূর্ব রেলের কাটিহার ডিভিশনের এডিএম রেল পুলিশ নিয়ে গিয়ে সহায়কদের স্টল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। তৃণমূলের সহায়কদের সংগঠনের বাধায় পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয় রেল। এ বারে রবিবার সহায়কদের নোটিশ দিয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্টল তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে রেলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারদের সহায়কদের দাবি, রেলের অনুমতিক্রমে এনজেপিতে তাঁদের ৪০টি স্টল রয়েছে (রেলের তরফে জানানো হয়েছে, স্টল সংখ্যা ২৫)। শতাধিক ব্যক্তি পুরোপুরি ওই স্টলের উপর নির্ভরশীল। জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে ভেন্ডার হেল্পার্স ইউনিয়নের কার্যকারি সভাপতি মানিক পাত্র বলেন, “ঠিকাদারদের রেলের স্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে তা করা হচ্ছে না। রেলের তরফে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। স্টলগুলিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ বছর থেকে রেলকে আমরা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছি। এ ভাবে আমাদের উচ্ছেদ করার চক্রান্ত মেনে নেব না। আর এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে আমরা খাব কী?” এ দিন জাতীয়তাবাদী ভেন্ডার হেল্পার্স ইউনিয়নের ব্যানারে মিছিল বের করে তৃণমূল। মিছিল এরিয়া ম্যানেজারের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ঘণ্টা দুই ঘেরাও বিক্ষোভ চলার পর এরিয়া ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। |
|
|
|
|
|