|
|
|
|
বাঁকুড়ায় নির্বাচনে এগিয়ে শাসকদলই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খাতড়া |
বাঁকুড়া জেলায় স্কুল পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ের নিরিখে এগিয়ে রইল তৃণমূল। রবিবার জেলার ১২টি স্কুলে ভোট হয়। ৮টিতে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছেন দু’টি স্কুলে। অন্য দু’টি স্কুলে টাই হয়েছে।
রবিবার বাঁকুড়া ২ ব্লকের বনকাটি হাইস্কুল, ওন্দার গড়কোটালপুর রবীন্দ্র বিদ্যানিকেতন, সিমলাপালের ধানঘোরী হাইস্কুল, তালড্যাংরা গার্লস, হাড়মাসড়া হাইস্কুল, খাতড়া হাইস্কুল, রানিবাঁধ হাইস্কুল, কেশরা হাইস্কুল, সারেঙ্গার গড়গড়িয়া সুভাষ হাইস্কুল, মাজুরিয়া-বাইশপাতরা হাইস্কুল, ইঁদপুরের শালকাপ হাইস্কুল এবং ক্ষীরপাই হাইস্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধির ভোট হয়। বনকাটি ও ধানঘোরী হাইস্কুলে সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। বনকাটি হাইস্কুলের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টিতে সিপিএম এবং একটিতে বিজেপি জিতেছে। এই স্কুলের পরিচালন সমিতি তৃণমূলের দখলে ছিল। ধানঘোরী হাইস্কুলের পরিচালন সমিতি অবশ্য আগে সিপিএমেরই দখলে ছিল।
রানিবাঁধের কেশরা ও ইঁদপুরের ক্ষীরপাই হাইস্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধিদের ৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম এবং তৃণমূল, দু’পক্ষই ৩টি করে আসনে জিতেছে। এই দু’টি স্কুলেই ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। বাকি ৮টি স্কুলে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ৬টি স্কুলে ৬টি করে আসনেই জয়ী হয়েছেন তাঁরা। রানিবাঁধ হাইস্কুলে অবশ্য সিপিএম, ঝাড়খণ্ড, কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রানিবাঁধ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুনীল মণ্ডলের প্যানেলের ৬ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি চিত্তরঞ্জন মাহাতোর গোষ্ঠীর ৬ জন প্রার্থী পরাজিত হন। এ প্রসঙ্গে সুনীলবাবু বলেন, “এলাকার অভিভাবকেরা আসল তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়েছেন। তাঁরা যে সিপিএম বা সিপিএমের ‘বি’ টিমকে চাইছেন না, তা এই ফলাফলে প্রমাণিত হল।” চিত্তরঞ্জনবাবু হার মেনে নিয়েও দাবি করেন, “ব্লক সভাপতি এক তরফা প্রার্থী দিয়েছিলেন। তাই আমরাও প্রার্থী দিয়েছিলাম। অভিভাবকেরা যাঁদের যোগ্য মনে করেছেন, তাঁদেরই জিতিয়েছেন।”
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্র বলেন, “যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারছেন, সেখানেই আমাদের প্রার্থীদের জেতাচ্ছেন। এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও মানুষ যে আমাদের চাইছেন, তা বিভিন্ন স্কুলের ভোটের ফলে স্পষ্ট।” জেলা তৃণমূল নেতা শ্যামল সরকারের প্রতিক্রিয়া, “জেলায় একের পর এক স্কুলভোটের ফলেই প্রমাণিত যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজকর্মের উপরে মানুষের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। নিরপেক্ষ ভাবে ভোট হচ্ছে বলেই সিপিএম এখনও প্রার্থী দিতে পারছে।” |
|
|
|
|
|