এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং তার পরে তাঁর মায়ের মৃত্যুকে ঘিরে হাড়োয়ার আটপুকুর গ্রামে রাজনৈতিক চাপান-উতোর সোমবারেও অব্যাহত।
মির আলি সর্দার নামে ওই তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে শনিবারের হামলায় সিপিএমের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। মির আলির মা আলেয়া বিবির মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও খুনের অভিযোগ দায়ের করা না হলেও তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের মারধরের জেরেই ওই প্রৌঢ়ার মৃত্যু হয়। সোমবার ওই পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ মুকুল রায়, সাংসদ নুরুল ইসলাম প্রমুখ। |
আলেয়া বিবির পুত্রবধূ মাজেদা বিবির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “ছেলেকে না পেয়ে মাকে মারধর করে খুন করেছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে দ্রুত অপরাধীদের ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে।” পরে স্থানীয় মাদ্রাসার মাঠে এক সভায় মুকুলবাবু বলেন, “২০০৮ সালে দুষ্কৃতীদের হাতে এখানে এক জন খুন হন। সিপিএম পরিকল্পনা করে বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নাম মিথ্যা মামলায় জড়ায়। ভয়ে বহু দলীয় কর্মী গ্রামে ঢুকছে পারছেন না।”
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ওই গ্রামের সিপিএম নেতা আলাউদ্দিন মোল্লা খুন হন। সেই ঘটনায় মির আলির নাম জড়িয়ে যায়। তার পর থেকে তিনি পুলিশের খাতায় পলাতক। শনিবার মায়ের অসুস্থতার কথা জেনে বাড়ি ফেরেন। সে কথা পুলিশকে না জানানোর জন্য গ্রামবাসীদের তিনি হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। রাত ৮টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর হয়। |
মাজেদা জানান, সিপিএমের লোকেরা মহিলাদের মারধর এবং লুঠপাটও করে। অসুস্থ শাশুড়িকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তার পরেই তাঁর শাশুড়ি মারা যান। রবিবার মাজেদা বিবি আরও ৩ জনের নামে শুধু হামলার অভিযোগই দায়ের করেন। এ দিনও সিপিএমের হাড়োয়া উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক ভুবন মণ্ডল বলেন, “সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক। কিন্তু এক জনের বার্ধক্যজনিত মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে নোংরা রাজনীতি হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের কেউ ওই ঘটনায় যুক্ত নন।” ময়না-তদন্ত করানো হল না কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।”
এ দিকে, জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধিক্কার সভা করা হয়। প্রতিবাদ মিছিলও বেরোয়। |