টুকরো খবর
বিচার না-মিললে সিবিআই অফিসে ধর্না, ঘোষণা শুভেন্দুর
নন্দীগ্রামে গণহত্যার তদন্তে সিবিআইয়ের ভূমিকায় ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের রাজারামচক হাইস্কুল সংলগ্ন ফুটবল ময়দানে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ গণহত্যার পাশাপাশি নারীদের উপর অত্যাচার হয়েছিল। ওই ঘটনায় জড়িত পুলিশ অফিসার ও সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে কলকাতায় সিবিআইয়ের আঞ্চলিক অফিসে ধর্নায় বসব। প্রয়োজনে নন্দীগ্রামের নিহত,আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিল্লিতে সিবিআইয়ের প্রধান দফতরে গিয়ে ধর্নায় বসা হবে।’’ নন্দীগ্রামের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর তৃণমূল নেতা আবু তাহের ও শেখ সুফিয়ান এ দিন উপস্থিত ছিলেন মাঠে। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও বারবার দলীয় ঐক্যের উপরে জোর দেন শুভেন্দু। এ দিনই সকালে নন্দীগ্রাম বিডিও অফিস সংলগ্ন মাঠে এক অনুষ্ঠানে ব্লকের প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দাকে নতুন রেশন কার্ড দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন। বিকেলে সামসাবাদে একটি খেলার মাঠের উদ্বোধন করেন সাংসদ।

ফরেন্সিক তদন্তে সুপারিশ
একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও আট বছরের ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ফরেন্সিক তদন্তের সুপারিশ করল জেলা পুলিশ। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ থাকায় দেহ তিনটি পাঠানো হয়েছে সেখানে। সোমবার সকালে তমলুকের উত্তরচড়া শঙ্করআড়ার স্টিমারঘাট এলাকায় বাড়ির মধ্যে গৃহকর্তা ভানুলাল মনির ঝুলন্ত দেহ ও মেঝেয় তাঁর স্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা এবং আট বছরের ছেলে সৌম্যদীপ্তর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান পারিবারিক অশান্তির জেরে ভানুলাল স্ত্রী-পুত্রকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু একা ভানুলালবাবু স্ত্রী ও ছেলেকে কী ভাবে খুন করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সঙ্ঘমিত্রাদেবী ও সৌম্যদীপ্তর মাথায় গভীর ক্ষত কিসের আঘাতে হল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। তমলুকের এসডিপিও পারিজাত বিশ্বাস বলেন, “বহিরাগত কেউ এসেছিলেন কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” সোমবার ভানুলালবাবুর প্রথম পক্ষের ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পক্ষের ছেলেকে টাকা দেওয়া নিয়ে অশান্তি চলছিল দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সঙ্ঘমিত্রাদেবীর সঙ্গে। সঙ্ঘমিত্রাদেবীর অন্য সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহও করতেন ভানুলালবাবু।

দৈনন্দিন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উদ্বোধন
মেদিনীপুর কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের মোহনপুর শাখার দৈনন্দিন ব্যাঙ্কিং পরিষেবার উদ্বোধন করলেন বলাগেড়িয়া সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের সভাপতি তথা এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস। সোমবার এই অনুষ্ঠানে ব্যাঙ্কের ৬৫০ জন ঋণী সদস্যকে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চার শতাংশ সুদে ২৬ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় ইউনিয়ন পরিচালনমণ্ডলীর সদস্য প্রদীপ পাত্র জানান, দৈনন্দিন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা চালু হওয়ায় এ বার থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নানা ভাতা প্রকল্প, একশো দিনের কাজের প্রকল্প-সহ নানা প্রকল্পে সাধারণ মানুষের টাকা পাওয়া সহজ হবে। প্রসঙ্গত, মোহনপুর ব্লকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংখ্যা কম থাকায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তেন সাধারণ মানুষ।

জাল নোট-সহ ধৃত
জাল নোট-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে মহিষাদল থানার গাড়ুঘাটা বাসস্টপ এলাকার ঘটনা। ধৃতদের নাম রাজেশ হাজরা, ও শান্তনু মণ্ডল। রাজেশের বাড়ি ওড়িশায়, তবে কলকাতায় থাকত সে। আর শান্তনুর বাড়ি মহিষাদলের সরবেরিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে রাজেশ কলকাতা থেকে বাসে গাড়ুঘাটা এসে বাসস্টপে অপেক্ষা করছিল। শান্তনু আসতেই তাকে কয়েক হাজার টাকার জালনোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে তাদের ধরে ফেলে পুলিশ। সোমবারই ধৃতদের হলদিয়া মহকুমা আদালতকে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

বিদ্যাসাগর গ্রামীণ মেলা
মেলার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
বিদ্যাসাগর গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন হল সোমবার। অষ্টম বর্ষের এই মেলার উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের পূর্ত ও পরিবেশ মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার। পটাশপুর ১ ব্লকের সিংদা ময়দানে এলাকার কৃষি, শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও বাণিজ্যিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এই মেলা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। শেষ দিন গণবিবাহেরও আয়োজন রয়েছে।

বিধানচন্দ্র রায় গ্রামীণ কৃষি মেলা
২৩তম বিধানচন্দ্র রায় গ্রামীণ কৃষি মেলার উদ্বোধন হল সোমবার। উদ্বোধন করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্যে এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ভগবানপুর হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত এই মেলা চলবে ৫ জানুযায়ী পর্যন্ত। মেলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের স্টল, প্রদর্শনী, প্রাদেশিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সচেতনতা শিবির, আলোচনাসভা, চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন রয়েছে।

পুড়ল ধানের গোলা
ভস্মীভূত হয়ে গেল ধানের দু’টি বড় গোলা। সোমবার রাতে চন্দ্রকোনার লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতের কাউর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, রাতে দুষ্কৃতীরা গ্রামেরই বাসিন্দা গৌরহরি দে-র ধানের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘণ্টা দু’য়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.