|
|
|
|
নতুন আবগারি জেলা ঝাড়গ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা ভাগের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর। ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা করার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। সেই মতো বাম আমলেই ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলা করা হয়েছিল। নতুন সরকার এসে ঝাড়গ্রামকে আলাদা করে স্বাস্থ্য জেলা করে। এ বার আবগারি বিভাগের ক্ষেত্রেও নতুন জেলার মর্যাদা পেল ঝাড়গ্রাম। নিয়োগ করা হল নতুন এক্সসাইজ সুপারিন্টেনডেন্ট। এই পদের দায়িত্ব নেওয়া সুমন মুৎসুদ্দি ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “ঝাড়গ্রামকে নতুন আবগারি জেলা করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।”
আগে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর মিলে একটিই জেলা ছিল। প্রশাসনিক প্রয়োজনে ২০০৩ সালে জেলা ভাগ করা হয়। তারপরেও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পরিসর খুব ছোট নয়। চারটি মহকুমায় মোট ২৯টি ব্লক রয়েছে। তার মধ্যে ঝাড়গ্রাম মহকুমা পিছিয়ে পড়া এবং মাওবাদী অধ্যুষিত। জঙ্গলমহলের অশান্তি মূলত এই এলাকাতেই ছড়িয়েছিল। ৮টি ব্লক নিয়ে গঠিত ঝাড়গ্রাম মহকুমাকেই নতুন জেলা হিসাবে তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। একদিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, অন্য দিকে দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যেই জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও প্রশাসনিক দিক দিয়ে জেলা ভাগের বিষয়টি নিয়ে এখনই তেমন তোড়জোর নজরে পড়ছে না। প্রশাসন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্যই এ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না সরকার।
তবে জেলা ভাগের প্রক্রিয়া যে চলছে, তা জানান দিল ঝাড়গ্রামকে নতুন আবগারি জেলা হিসাবে ঘোষণা করার মাধ্যমে। আগে ঝাড়গ্রামে একজন ডেপুটি এক্সাইজ সুপারিন্টেনডেন্ট বসতেন। বর্তমানে ঝাড়গ্রামের এক্সসাইজ সুপারিনটেনডেন্ট সেই অফিসেই বসছেন। তবে আলাদা জেলা হিসাবে এখনও ওই দফতরের পরিকাঠামো তৈরি করা যায়নি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্সসাইজ সুপারিন্টেনডেন্টের জন্য আলাদা অফিস তৈরি, আসবাবপত্র কেনা, প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ এ সবই বাকি। উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|