|
|
|
|
ঘাটাল কলেজ |
এনসিসি আধিকারিক নিয়োগ-সমস্যা চলছে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
অ্যাসোসিয়েট এনসিসি অফিসার নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না সোমবারও। প্রায় দশ দিন ধরে ঘাটাল কলেজের এনসিসি বিভাগে এই আধিকারিক নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের আশ্বাস দিয়েছিল, গত বৃহস্পতিবার কলেজ পরিচালন কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সেই বৈঠকেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেল না। তবে ঠিক হয়েছে, কলেজের ৪০ বছর বয়সী সাত জন শিক্ষকের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। সোমবার ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই এঁদের মধ্যে যে কোনও একজনকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেই মতো গত শুক্র ও শনিবার দু’দিন ধরে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে সাত জন শিক্ষকের মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। সোমবার হাসপাতাল থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে আসেন। পরে শুরু হয় বৈঠক। কিন্তু দু’ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক চললেও পরিচালন কমিটি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি এ দিনও। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সাত জনের মধ্যে একজন বাদে বাকি ছ’জন শারীরিক ভাবে সক্ষম। তাঁদের রিপোর্ট এনসিসির মেদিনীপুরের সদর দফতরে পাঠানো হবে। ৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আধিকারিকরা ওই ছ’জনের মধ্যে যে কোনও একজনকে বেছে তাঁর নাম কলেজে পাঠিয়ে দেবেন। নাম পাওয়ার পরে ওই শিক্ষকেই ওই পদে নিয়োগ করা হবে।
পরিচালন কমিটির পক্ষে ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “যে কোনও একজনকে তো দায়িত্ব নিতেই হবে। কেননা, কোনও মতেই কলেজ থেকে ওই বিভাগ উঠে যাক, এটা মেনে নেওয়া যাবে না। তাই ওই ছ’জন শিক্ষকের মধ্যে এনসিসির আধিকারিকরা যাঁকে পছন্দ করবেন তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হবে।” ঘাটাল কলেজের অধ্যক্ষ ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বৈঠক শেষ হওয়ার পরে এ দিনই ডাক মারফত শিক্ষকদের নাম ও মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ফোনেও এনসিসির আধিকারিকদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ দিনও বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের কথা লিখিত ভাবে জানানোর পর এবং যে কোনও একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে-এ কথা বলার পর বিক্ষোভ বন্ধ হয়। অধ্যক্ষ বলেন, “যদি দু’একদিনের মধ্যে এনসিসি আধিকারিকরা নাম পাঠিয়ে দেন, তা হলে পরের দিনই ওই শিক্ষককে অফিসিয়ালি ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|