|
|
|
|
|
ডার্বি ম্যাচের রিপ্লে চাইল বাগান
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
|
ভেস্তে যাওয়া ডার্বি ম্যাচের রিপ্লে দেওয়ার জন্য ফেডারেশন নির্বাচিত এক সদস্যের কমিটির কাছে সোমবার আবেদন জানাল মোহনবাগান!
তবে ম্যাচ রিপ্লে হবে, না দল তুলে নেওয়ার জন্য মোহনবাগান শাস্তি পাবে তা ঠিক করার ক্ষমতা অশোক গঙ্গোপাধ্যায় কমিটির হাতে নেই। কারণ. রাজ্যের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে সেই ক্ষমতা দেয়নি ফেডারেশন। তাঁকে শুধু বলা হয়েছে, ডার্বি ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার জন্য মোহনবাগান দোষী না নির্দোষ তা জানাতে। এ ছাড়া কী করা উচিত তা নিয়ে তাঁর সুপারিশও চাওয়া হয়েছে। অশোকবাবু অবশ্য এ দিন যুযুধান দু’পক্ষের কাছেই রিপ্লে হতে পারে কী কী কারণে তা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ফেডারেশন সূত্রের খবর, বুধবার অশোকবাবু তাঁর মতামত জানাবেন। তার পর আই লিগ কমিটির সভায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। আই লিগ কমিটিতে আছেন ইস্টবেঙ্গল, ডেম্পো, পুণে এফসি, সিকিম ইউনাইটেড ও লাজং এফসি-র প্রতিনিধিরা। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে ফেডারেশনের কোনও কর্তা মুখ খুলছেন না। তবে নাম দেওয়া যাবে না এই শর্তে এক কর্তা বললেন, “আই লিগ কমিটি যে সিদ্ধান্তই নিক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল।” জানা গিয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর মোহনবাগান-চার্চিল ম্যাচের আগে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন।
৯ ডিসেম্বর যুবভারতীতে নিরাপত্তা নেই এই কারণ দেখিয়ে মোহনবাগান দল তুলে নেওয়ায় ভেস্তে গিয়েছিল আই লিগের ডার্বি ম্যাচ। ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোকবাবুর সামনে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোহনবাগান ও ফেডারেশনের আইনজীবীরা। ছিলেন সবুজ-মেরুন সচিব অঞ্জন মিত্র এবং অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। দিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে দু’পক্ষের সওয়াল চলে নজিরবিহীন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা।
মোহনবাগানের পক্ষে দুই আইনজীবী সৌম্য চক্রবর্তী ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গণ্ডগোলের দিনের বিভিন্ন কাগজের পেপার কাটিং ও সিডি দেখিয়ে দাবি করেন, “ফুটবলাররা আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় মাঠে নামতে চাইছিলেন না।” মাঠে ছোড়া ইট, মদের বোতলের ছবি। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত দুই সমর্থকের পড়ে থাকা। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য। সিডির মাধ্যমে সেগুলি কমিশনকে দেখায় মোহনবাগায়। কমিশনের একমাত্র সদস্য অশোকবাবু জানতে চান, “এই ছবি কোন চ্যানেলের এবং কখন তোলা।” সভা থেকে বেরিয়ে অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “রিপ্লে হলে যেখানে খেলতে বলবে ফেডারেশন, সেখানেই খেলব।” মোহনবাগানের সব দাবি অবশ্য সওয়ালের সময় উড়িয়ে দিয়েছেন ফেডারেশনের তিন আইনজীবী উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়দীপ কর ও বিল্লদল ভট্টাচার্য। মোহনবাগানের সাড়ে তিন ঘণ্টার সওয়ালের পর এক ঘণ্টার সওয়ালে ফেডারেশন ঢাল করে নিজেদের সরকারি চ্যানেলের অসংশোধনীয় সিডিকে। যেখানে দেখা যায়, বিরতিতে দর্শকদের শান্ত করার জন্য ম্যাচটির সংগঠক ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মাঠও শান্ত। উষাবাবু বললেন, “ম্যাচ করার মতো পরিস্থিতি ছিল সেটা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। ছবিতেই দেখা গিয়েছে গ্যালারিও প্রস্তুত ছিল ম্যাচ দেখতে। তবুও মোহনবাগান দল নামায়নি।” |
|
|
|
|
|