ম্যাচের আগেই টেনশন বেশি
কটা সিরিজ শেষ হতে না হতেই আর একটা এসে হাজির হল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যালেন্ডারের ধরনটাই এখন এ রকম। খুব দ্রুত একটার পিছু-পিছু আর একটা ম্যাচ এসে যায়। ফলে শুধুমাত্র যে ক্রিকেটারদের স্কিলের পরীক্ষা হয়, তা নয়। শারীরিক সুস্থতা, সুইচ অফ-সুইচ অন করা বিভিন্ন ফর্ম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, এগুলোও দেখতে হয়।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’টো টি টোয়েন্টি ভাল বিনোদন দিল। প্রথম ম্যাচটা ভারত সহজেই জিতেছিল। দ্বিতীয়টার ফয়সলা হল শেষ বলে, ম্যাচ যে কোনও দিকে যেতে পারত। সিরিজের তারকা ছিল যুবি। ওকে মাঠে ফিরতে দেখে দারুণ লাগল। শেষ টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ায় নিশ্চয়ই ওর খুব দুঃখ হয়েছিল। রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরিটা হয়তো তারই প্রতিফলন। যুবি যে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে কতটা মুখিয়ে আছে, সেটা গোটা মরসুমেই বোঝা গিয়েছে।
এম এস আর ওর ছেলেদের পরের বিপক্ষ পাকিস্তান। যার শুরু ক্রিসমাসের দিন, বেঙ্গালুরুতে টি টোয়েন্টি দিয়ে। ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেললে সব সময়ই একটা বাড়তি আবেগ জড়িয়ে থাকে। তার উপর এ বার পাকিস্তান পাঁচ বছর পর ভারত সফরে এল। বুঝতেই পারছেন সামনের পাঁচটা ম্যাচ নিয়ে দু’দেশের ভক্তরাই কতটা আগ্রহী থাকবে। দু’টো টিম এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। সদ্য আন্তর্জাতিক টি টোয়েন্টির স্বাদ পেয়েছে বলে ভারত হয়তো একটু ভাল জায়গায় আছে। সিরিজটা হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে।
প্র্যাক্টিসে অন্য মেজাজে ধোনি-আফ্রিদি।
হাসিতে ঢাকা পড়েছে টেনশন। ছবি: পিটিআই।
ভারতের মাঠে শেষ ভারত-পাক ম্যাচ ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। যে ম্যাচটাকে কি না বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বার প্রেক্ষাপট অত বড় না হলেও ভারত-পাক লড়াইয়ে সব সময়ই একটা আলাদা মাত্রা থাকে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামলে মাথার মধ্যে এই চিন্তাটা থাকবেই যে, এই ম্যাচের ফলাফলের সঙ্গে গোটা দেশের আবেগ জড়িয়ে আছে।
পাকিস্তান ম্যাচের আগে যে টিম মিটিংগুলো হত, সেগুলো এখনও মনে আছে। আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু থাকত, আবেগকে গুরুত্ব না দেওয়া। বলা হত, এটাকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতো দেখতে। কিন্তু অন্য কোনও ম্যাচের আগে যে এ রকম আলোচনা হত না, সেটা থেকেই বোঝা যায় ভারত-পাক যুদ্ধকে আর পাঁচটা ম্যাচের মতো নেওয়া অসম্ভব। মাঠে প্লেয়ারদের যে এনার্জিটা থাকত, সেটা অবিশ্বাস্য। মাঠে একবার নামলে ম্যাচটা যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে, সেটা ভুলে যেতাম। কিন্তু দর্শকের চিৎকার সব সময় আবেগটা মনে করিয়ে দিত। অনেক দিক থেকে ম্যাচ শুরুর আগের সময়টা ম্যাচের থেকেও বেশি টেনশনের। এই সিরিজে ম্যাচগুলোর মধ্যে বেশি দিনের ব্যবধান নেই বলে ভালই হয়েছে। কারণ ম্যাচের মধ্যেকার দিনগুলো প্রচণ্ড টেনশনে কাটে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিততে পারলে ভারতের একটা কঠিন বছরের শেষটা ভাল হবে। নতুন বছরটা আশা দিয়ে শুরু হবে। আর আমি জানি, ভারতের সেই ক্ষমতা আছে।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.