|
|
|
|
|
স্পিনার কমিয়ে বাড়তি
পেসার খেলাও ধোনি
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় |
|
পাঁচ বছর দু’দেশের মধ্যে সিরিজ বন্ধ থাকার পর পাকিস্তান এমন একটা সময়ে ভারত সফরে এসেছে যখন শেষ বারো মাসে ভারতীয় ক্রিকেটে অনেক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ অবসর নেওয়ার পর সদ্য-সদ্য সচিন একদিনের ম্যাচ থেকে অবসর নেওয়ায় এই সিরিজ ঘিরে আরও বেশি উত্তেজনা তৈরি হবে। আমি সিরিজটাকে চূড়ান্ত আগ্রহ নিয়ে দেখব। খুঁজে বার করার চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে কোন ভারতীয় ক্রিকেটার জাতীয় দল এবং পতাকা বহন করতে পারে।
গত দশ বছরে ভারত পাকিস্তানের ওপর প্রাধান্য দেখিয়েছে। এই প্রথম ভারতের মাটিতে পাকিস্তান খেলছে যখন সাম্প্রতিক হারে ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাস ধাক্কা খেয়েছে। তবে ভারতকে দুর্বল ভাবার কোনও কারণ নেই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের ছেলেরা খেলার মান আরও উঁচুতে নিয়ে যায়। বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চিরন্তন প্রতিপক্ষ যখন লড়াইয়ে নামে তখন যুদ্ধক্ষেত্রটা জ্বলন্ত কড়াইয়ের মতোই দেখায়। ওই প্রচণ্ড চাপ সামাল দেওয়ার জন্য দরকার ক্রিকেটারদের মানসিক কাঠিন্যের। |
|
পাকিস্তানের বাজি অবশ্য স্পিনার আজমল। ছবি: উৎপল সরকার। |
সীমিত ওভারের ফর্ম্যাট বলেই ভারত-পাক দু’দলের মধ্যে পার্থক্যও অনেকটা কম থাকবে। পাকিস্তান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেই পারে। তবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ে চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকায় আমি ভারতকেই সিরিজে এগিয়ে রাখব। গত দশ-বারো বছরে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দলের মধ্যে যেটুকু পার্থক্য সেটা নেতৃত্ব দেওয়ার ইস্যুতে। ভারতের মাটিতে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে হাফিজ-মিসবা দু’জনকেই নিজেদের লেভেল আরও বাড়ানোর দরকার।
সিরিজ-উদ্বোধনী ম্যাচের কেন্দ্র হিসেবে বেঙ্গালুরু দুর্দান্ত জায়গা। এই শহর আর তার স্টেডিয়াম অতীতে বহু গুরুত্বপূর্ণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী থেকেছে। এবং আজ আরও একটা সে রকম ম্যাচ দেখার জন্য প্রস্তুত। চিন্নাস্বামীর উইকেট ব্যাটিং-স্বর্গ হওয়া উচিত। গত বছরও এই মাঠের উইকেটে আমার নিজের খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, মঙ্গলবারের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বড় ইনিংসের খেলা হবে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে সদ্য পুণে আর মুম্বইয়ে দু’টো এই ফর্ম্যাটের ম্যাচে সন্ধে-রাতের শিশিরকে একটা বড় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে। আমার বিশ্বাস, বেঙ্গালুরুতেও সন্ধে সাতটায় শুরু হওয়া ম্যাচের ফলাফলের ওপর শিশিরের একটা ভূমিকা থাকবে। সে জন্য টস-ভাগ্য একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে আজকের ম্যাচে। এবং দু’দলের ক্যাপ্টেনই টস জিতে পরে ব্যাট করা পছন্দ করবে। যাতে প্রতিপক্ষ দলের স্পিনারদের কাছে শিশিরে ভেজা সাদা বল ঠিক ভাবে গ্রিপ করাটা কঠিন কাজ হয়ে ওঠে। ভারত এই ম্যাচে তাদের বোলিং বিভাগ নিয়ে খানিকটা দুশ্চিন্তায় থাকবে। আমাদের ব্যাটিংয়ে প্রতিভা, গভীরতা, দক্ষতা আর একাধিক ম্যাচ-উইনার আছে। কিন্তু নতুন বলে আক্রমণের ক্ষেত্রে আমাদের পেসাররা একেবারেই তরুণ। যে কারণে নির্বাচকেরা ইশান্ত শর্মাকে দলে রেখেছেন জোরে বোলিংয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা যোগ করার উদ্দেশ্যে। আমাদের প্রধান স্পিনাররা ইংল্যান্ডের সঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের সেরা ফর্মে ছিল না। যুবরাজকে প্রধান স্ট্রাইক স্পিনার হতে হয়েছিল। ধোনি নিশ্চয়ই আশা করবে, পাকিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ওর প্রধান স্পিনাররা নিজেদের তুলে ধরবে। শিশিরের ব্যাপারটা মাথায় রেখে ভারত একজন স্পিনারের জায়গায় বাড়তি একজন পেসারকে খেলানোর কথা ভেবে দেখতে পারে। বিশেষ করে যখন যুবরাজ স্পেশ্যালিস্ট স্পিনারের কাজ করে দিচ্ছে। |
|
|
|
|
|