নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
স্কুল নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের ধারা অব্যাহত। তবে যেখানে বিরোধীদের প্রভাব রয়েছে, সেখানে লড়াই হয়েছে। কোথাও কংগ্রেস-সিপিএমের মতো বিরোধী দলের সমর্থিত প্রার্থীরা। বিষয়টি সামান্য চিন্তায় রাখলেও তৃণমূল নেতৃত্বকে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “রবিবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৭টি স্কুলে নির্বাচন ছিল। এর মধ্যে ৩১টিই আমাদের দখলে রয়েছে। এই ফল থেকেই স্পষ্ট, মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”
ডেবরা ব্লকের ছটি স্কুলে পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন ছিল রবিবার। অর্জুনি, হরিমতি, বিষ্ণুপুর, পাঁচগেড়িয়া, অন্তলা হাইস্কুল নির্বাচনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ভাগীরথপুরে জয়ী হয়েছে সিপিএম। এখানে ছটি আসনের সবকটিই তাদের দখলে। সবংয়ের তিনটি স্কুলে নির্বাচন ছিল রবিবার। বিলকুয়া স্কুলে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। খড়িকায় ছটি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিতেরা। একটিতে সিপিএম। বনাই বাসন্তী বিদ্যাপীঠে অবশ্য কংগ্রেস ধরাশায়ী হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এখানে যে ছ’জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে দু’জন তৃণমূলের সমর্থক। চার জন সিপিএমের। যদিও সিপিএম এবং তৃণমূল, দু’পক্ষই অন্য দাবি করেছে। সিপিএমের সবং জোনাল কমিটির সম্পাদক অমলেশ বসু বলেন, “৬ জনই আমাদের সমর্থক।” অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা আমাদেরই সমর্থক।”
নারায়ণগড়ে তিনটি স্কুলে নির্বাচন হয়েছে। বাখরাবাদ, কুশবাসান এবং লালবাহাদুর শাস্ত্রী শিক্ষা নিকেতন তিনটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কেশিয়াড়ির তিনটি স্কুলে নির্বাচন ছিল রবিবার। করাট মুড়াকাটায় তৃণমূল সমর্থিত ছ’জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বারিদা হাইস্কুলে ছটি আসনের মধ্যে পাঁচটি পেয়েছে সিপিএম। একটি তৃণমূল। কুসুমপুরে আবার পাঁচটিতে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল সমর্থিতেরা। একটিতে সিপিএম। পিংলার ধনেশ্বরপুরের বড়াই হাইস্কুলে ছটি আসনের সব ক’টিই পেয়েছে সিপিএম। এই ব্লকের জলচক হাইস্কুলে আবার তৃণমূল জয়ী হয়েছে। জিতেছেন দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অনুগামী বলে পরিচিতরাই। খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার খেমাশুলি এবং শঙ্কা হাইস্কুলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। মেদিনীপুর শহরের স্মৃতিকণা হাইস্কুল এবং নারায়ণ বিদ্যাভবন গার্লস হাইস্কুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। খড়্গপুর শহরের আর্য বিদ্যাপীঠেও তৃণমূল জয়ী হয়েছে।
চন্দ্রকোনার ধান্যগাছি হাইস্কুলে জেতেন তৃণমূল নেতা সলিল কারকের অনুগামীরা। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মনোনয়নপত্র জমার দিন থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। দু’পক্ষের মারপিট-বোমাবাজি সবই হয়েছে। রবিবারও ভোটের দিন অবস্য বড় ধরনের অশান্তি হয়নি। ফল বেরনোর পরে দেখা যায় চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের সহ-সভাপতি তথা স্থানীয় নেতা হীরালাল ঘোষের অনুগামীরা। |