নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
সেতুটি চালু হওয়ার পরে বাগনান থেকে আমতা-২ ব্লকের কুলিয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার একটি পাকা সড়কও তৈরি হয় মুণ্ডেশ্বরী এবং রূপনারায়ণের বাঁধের উপর দিয়ে। কাশমলি, ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই রাস্তা ধরেই বাগনান, কলকাতা এবং শহরতলিতে সহজে যাতায়াত করেন। সেতু নির্মিত হওয়ার পরেই কুলিয়াঘাটে তৈরি হয় বাসস্ট্যান্ডও। এখান থেকে হাওড়া, বাগনান প্রভৃতি রুটের বাস এবং ট্রেকার ছাড়ে। শুধু তাই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলির বহু মানুষও এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে এই সব এলাকার মানুষ সড়ক পথে কলকাতা, বাগনান এবং শহরতলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতেন না। নদীবাঁধ ধরে হেঁটে বা সাইকেলে চেপে বাকসিতে এসে তাঁদের নৌকায় গাইঘাটা খাল পার হয়ে তাঁরা বাস বা ট্রেকার ধরতেন।
স্থানীয় মানুষের দাবি মেনেই সেতুটি তৈরি করা হয়। কিন্তু নিত্যযাত্রীরা জানান, চালু হওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই সেতুর মাঝখানের অংশ বসে যেতে থাকে। গত কয়েক বছরে তা বেড়েছে। আমতার বিধায়ক কংগ্রেসের অসিত মিত্র বলেন, “নির্মাণ করার সময়েই মনে হয় কোনও ত্রুটি থেকে গিয়েছিল। সেতুটি অকেজো হয়ে পড়লে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ফের বিপাকে পড়বেন। সমস্যাটি জরুরি ভিত্তিতে দেখার জন্য আমি পূর্ত (সড়ক) দফতরকে একাধিকবার জানিয়েছি।”
পূর্ত (সড়ক) দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, সেতুটির উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল করার কথা নয়। সর্ব্বোচ্চ ১২ টনের বেশি যান চলাচল করা যায় না। কিন্তু বালি বোঝাই ডাম্পার এই সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। মালপত্র-সহ ১২ টন ওজনের বেশি ট্রাক যাতে চলাচল না-করে তার জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা কেউ মানেন না বলে অভিযোগ। সত্যব্রতবাবু জানিয়েছেন, সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল যাতে না-করে সে বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে দফতরের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। |