বসে গিয়েছে স্তম্ভ, বাকসিতে সেতুতে আতঙ্কের পারাপার
চালু হওয়ার মাত্র ছ’বছরের মধ্যে হাওড়ার বাকসির গাইঘাটা খালের সেতুটি বসে গিয়েছে কিছুটা। এই সেতু দিয়ে নিয়মিত বাস-ট্রেকারে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়া করেন। সেতুর এই অবস্থায় তাঁরা আতঙ্কে ভুগছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য তাঁরা ইতিমধ্যে রাজ্যের পূর্ত (সড়ক) দফতরের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন।
২০০৬ সালে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে চালু করে রাজ্য পূর্ত (সড়ক) দফতর। বাগনান শহরের সঙ্গে আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল ওই সেতু। সেতুর মাঝখানে রয়েছে দু’টি স্তম্ভ। একটি স্তম্ভ প্রায় ছয় ইঞ্চি বসে যাওয়াতেই এই বিপত্তি বলে পূর্ত (সড়ক) দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা সেতুটি পরিদর্শনে আসেন।
সেতুটি মেরামতির পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করে পূর্ত (সড়ক) দফতরের হাওড়া ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার সত্যব্রত বসু বলেন, “আমাদের দফতরের পদস্থ বাস্তুকাররা সেতুটির অবস্থা সরেজমিনে দেখেছেন। খুব শীঘ্রই এটির মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে।”
ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।
সেতুটি চালু হওয়ার পরে বাগনান থেকে আমতা-২ ব্লকের কুলিয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার একটি পাকা সড়কও তৈরি হয় মুণ্ডেশ্বরী এবং রূপনারায়ণের বাঁধের উপর দিয়ে। কাশমলি, ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া-চিৎনান এই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই রাস্তা ধরেই বাগনান, কলকাতা এবং শহরতলিতে সহজে যাতায়াত করেন। সেতু নির্মিত হওয়ার পরেই কুলিয়াঘাটে তৈরি হয় বাসস্ট্যান্ডও। এখান থেকে হাওড়া, বাগনান প্রভৃতি রুটের বাস এবং ট্রেকার ছাড়ে। শুধু তাই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলির বহু মানুষও এই রাস্তা ব্যবহার করেন।
সেতুটি নির্মিত হওয়ার আগে এই সব এলাকার মানুষ সড়ক পথে কলকাতা, বাগনান এবং শহরতলির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারতেন না। নদীবাঁধ ধরে হেঁটে বা সাইকেলে চেপে বাকসিতে এসে তাঁদের নৌকায় গাইঘাটা খাল পার হয়ে তাঁরা বাস বা ট্রেকার ধরতেন।
স্থানীয় মানুষের দাবি মেনেই সেতুটি তৈরি করা হয়। কিন্তু নিত্যযাত্রীরা জানান, চালু হওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই সেতুর মাঝখানের অংশ বসে যেতে থাকে। গত কয়েক বছরে তা বেড়েছে। আমতার বিধায়ক কংগ্রেসের অসিত মিত্র বলেন, “নির্মাণ করার সময়েই মনে হয় কোনও ত্রুটি থেকে গিয়েছিল। সেতুটি অকেজো হয়ে পড়লে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ ফের বিপাকে পড়বেন। সমস্যাটি জরুরি ভিত্তিতে দেখার জন্য আমি পূর্ত (সড়ক) দফতরকে একাধিকবার জানিয়েছি।”
পূর্ত (সড়ক) দফতর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, সেতুটির উপর দিয়ে ভারি যান চলাচল করার কথা নয়। সর্ব্বোচ্চ ১২ টনের বেশি যান চলাচল করা যায় না। কিন্তু বালি বোঝাই ডাম্পার এই সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। মালপত্র-সহ ১২ টন ওজনের বেশি ট্রাক যাতে চলাচল না-করে তার জন্য বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সতর্কবার্তা কেউ মানেন না বলে অভিযোগ। সত্যব্রতবাবু জানিয়েছেন, সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল যাতে না-করে সে বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানিয়ে দফতরের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.