|
|
|
|
সাহিত্য সম্মেলনে কুর্নিশ সুনীলকে |
বিপ্লবকুমার ঘোষ • নাগপুর |
কে বলে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নেই! সশরীরে না থাকলেও আলোচনা সভাতে তিনিই হয়ে উঠলেন অনুষ্ঠানের মূল কেন্দ্রবিন্দু। নাগপুরে আয়োজিত পঁচাশিতম নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে।
প্রতি বছর নানা রাজ্যে ঘুরে ফিরে এই সম্মেলন হয়। এ বছর মহারাষ্ট্রে। মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চহ্বাণের বাংলা ভাষায় দারুণ আগ্রহ। অধিবেশনের শুরুতেই বলেছেন, “খুব তাড়াতাড়ি মরাঠি ও বাংলা ভাষার যৌথ সংস্কৃতি সমন্বয় কমিটি গড়ব।”
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি এই আগ্রহ মরাঠি-ভাষী বহু সাধারণ মানুষের মধ্যেও। সুনীলকে নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন বহু স্থানীয় মানুষ। যেমন শহরের ব্যবসায়ী নিতিন দেশমুখ। ‘সেই সময়’-এর মরাঠি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল একটি সাহিত্য পত্রিকায়। সেটি পড়েছিলেন নিতিন। পড়েছেন সুনীলের আরও কিছু লেখার অনুবাদ। বললেন, “তাঁর মৃত্যু এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারছি না।”
সাহিত্য সম্মেলনে ছিলেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকাও। তেমনই এক জন শীলা কুলকার্নি। সুনীলের বেশ কয়েকটি কবিতা মরাঠিতে অনুবাদ করেছেন শীলা। প্রিয় কবিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন। বললেন, “সুনীলদা আমায় কলকাতায় যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কবি-ই কথা রাখেনি।” নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত ঘোষের দাবি, “এই প্রথম কোনও অধিবেশনের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে।”
তিন দিনের সম্মেলন ঘিরে প্রায় তিন হাজার অতিথির ভিড়ে এই মুহূর্তে জমজমাট নাগপুর। প্রথম দিন শহর পরিক্রমা দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শহরে এমনিতেই দেড় লক্ষ বাঙালির বাস। মরাঠি ও বাংলা সাহিত্যের সুন্দর সহাবস্থান। সম্মেলনের সভাপতি পদে এত কাল ছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে এ বছরে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ। সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন পশ্চিমবাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। |
|
|
|
|
|