|
|
|
|
বিহারে ধৃত ৩ |
দু’জনের চোখে অ্যাসিড |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পটনা |
চোখে অ্যাসিড ঢেলে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল বিহারের অরারিয়ায়। ১৯৮০ সালে অপরাধ দমনে ভাগলপুরের পুলিশ বিচারাধীন দুষ্কৃতীদের চোখে অ্যাসিড ঢেলে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিল। ‘গঙ্গাজল-কাণ্ড’ নামে কুখ্যাত ভাগলপুর পুলিশের সেই কীর্তি। এ বার নিগ্রহকারীদের ভূমিকায় অরারিয়া জেলার রানিগঞ্জ থানার হিঙ্গা গ্রামের অধিবাসীরা। পঞ্চায়েত প্রধান পদের উপ-নির্বাচন ঘিরে দুই গোষ্ঠীর রেষারেষির জেরে দুই ভাই মুন্না ঠাকুর ও কানাইয়া ঠাকুরের চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেয় গ্রামবাসীরা। চিকিৎসকেরা জানান, কানাইয়ার দু’টি এবং মুন্নার একটি চোখ একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মুন্নার অন্য চোখটিরও দৃষ্টি ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের ২০ তারিখে পরমানন্দ পঞ্চায়েতে প্রধান পদের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ওই নির্বাচনে মুন্না ঠাকুরের স্ত্রী ইন্দু দেবী এবং আর এক গ্রামবাসী কপিল মণ্ডলের ভাইয়ের স্ত্রী কাজল দেবী প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করেন। দু’জনেই হেরে যান। হেরে যাওয়ার জন্য একে অপরকে দুষতে থাকেন। অভিযোগ, মুন্না ঠাকুর শনিবার গ্রামবাসীদের ভয় দেখাতে গুলি চালান। এরপর মুন্না ঠাকুরের শাস্তির দাবিতে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গ্রামে বৈঠক ডাকা হয়। মুন্না বৈঠকে না আসায় তাঁকে ডাকতে যায় গ্রামের লোক। কিন্তু পিস্তল নিয়ে ভয় দেখান বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায়, পিস্তল উঁচিয়ে তেড়ে এলে গ্রামবাসীরা ওই পিস্তল কেড়ে নিয়ে মুন্না ও তাঁর ভাই কানাইয়াকে ধরে ফেলে। গ্রামবাসীরা দু’জনকেই চেপে ধরে তাঁদের চোখে অ্যাসিড ঢেলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। যন্ত্রণাকাতর দুই ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ কপিল মণ্ডল, রামানন্দ মণ্ডল এবং পঞ্চানন মণ্ডল নামে তিন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সুপার মনোজ কুমার বলেন, “কানাইয়া ঠাকুরের দু’টি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। মুন্না ঠাকুরের এখন চিকিৎসা চলছে। |
|
|
|
|
|