|
|
|
|
ধৃত চার সন্ন্যাসী |
বাঁধ-বিরোধী আন্দোলনে তপ্ত তাওয়াং |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বাঁধ-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে গ্রেফতার হলেন তাওয়াং মঠের চার সন্ন্যাসী। ভরা পর্যটন মরসুমে গোটা জেলায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। তাওয়াংয়ে এনএইচপিসি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ছে। তা নিয়েই চলছে আন্দোলন। আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছেন ঐতিহাসিক গালদেন নামগিয়াল লাৎসে মঠের সন্ন্যাসীরা। এনএইচপিসি তাওয়াং জেলায় ১৩ টি ছোট ও মাঝারি আকারের নদীবাঁধ তৈরি করছে। কিন্তু তাওয়াং মঠের ভিক্ষুদের দাবি, পবিত্র তাওয়াং ভূমিতে বাঁধ বানিয়ে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হলে প্রকৃতির ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। বহু চোর্তেন ও পবিত্র ভূমি তলিয়ে যেতে পারে।
ষষ্ঠ দলাই লামার জন্মভূমি তাওয়াং-এর মূল প্রাণকেন্দ্র হল, মেরেক লামার তৈরি গাল্দেন নামগিয়াল লাৎসে। এই মঠকে ঘিরেই বেঁচে আছে তাওয়াংয়ের পর্যটন শিল্প। দলাই লামার নির্দেশই এখানকার মানুষেদের কাছে শেষ কথা। মঠের সন্ন্যাসীদের অত্যন্ত শ্রদ্ধার চোখে দেখেন তাওয়াংবাসী। তাঁদের নেতৃত্বে, তাওয়াং-এ বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে ‘সেভ মন কমিটি’ । গত কয়েক মাস ধরে,রাজ্য সরকার ও এনএইচপিসির বাঁধ তৈরির প্রচেষ্টা এসএমসি বারবার ব্যহত করেছে। এর আগে, বাঁধ-বিরোধী বনাম পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে বহু সন্ন্যাসীও জখম হয়েছিলেন। পরিস্থিতি সামলাতে, অরুণাচল প্রশাসন, সরাসরি বিষয়টি নিয়ে দলাই লামাকে চিঠি পাঠায়। তাতেও সমস্যা মেটেনি। গত তিন দিন ধরে কুদুং-এ বাঁধ গড়া নিয়ে ফের শুরু হয়েছে বিবাদ। বাঁধ সমর্থকেরা নির্মাণ সামগ্রী লুঠ করেন। তাদের আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। মঠের চারজন ভিক্ষু ও কয়েকজন মহিলা-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেলাশাসক কেমো লোল্লেন ছুটি বাতিল করে তাওয়াং চলে এসেছেন। আরও দুই ব্যাটালিয়ন আধা সেনা জরুরি তলব করা হয়েছে। লোল্লেন জানান, জেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|