আট স্কুলে ভোট, ছ’টিতেই হার দেখল তৃণমূল
জেলার স্কুলভোটে ফের হার দেখল তৃণমূল। রবিবার জেলার চারটি থানা এলাকার যে আটটি স্কুলের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছে, তার পাঁচটিতেই জয়ী হলেন বামপন্থী প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা। অন্য দিকে, কংগ্রেস ও কংগ্রেস-তৃণমূল জোট একটি করে স্কুলে জয়ী হয়েছে। একটি স্কুলে বাম ও কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের ফল ৩-৩।
সিপিএমের বীরভূম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাধন ঘোষ বলেন, “বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য চলছে। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন এক সঙ্কটের সময়ে মানুষ যে ভাবে আমাদের পুনর্বিবেচনা করছেন, তা দেখে আমরা খুশি।” জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলে হারের কারণ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।”
মাত্র কয়েক দিন আগেই দুবরাজপুরের দু’টি স্কুল নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন বাম প্রার্থীরা। এ বার খয়রাশোলেরও তিনটি স্কুলে তাঁরা জয়ী হলেন। স্থানীয় কেন্দ্রগড়িয়া, রূপসপুর ও বাবুইজোড় উচ্চ বিদ্যালয়, খয়রাশোলের এই তিনটি স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচন ছিল রবিবার। কেন্দ্রগড়িয়া ও রূপসপুরে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি বাবুইজোড় উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের হারিয়ে উচ্ছ্বসিত বাম শিবির। প্রত্যেকটি স্কুলেই নির্ধারিত ছ’টি আসনে প্রার্থী দিয়েও কেবল মাত্র বাবুইজোড় ও কেন্দ্রগড়িয়া স্কুলে একটি করে আসন পেয়েছে তৃণমূল। এলাকায় পরপর হারে দৃশ্যতই হতাশ তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি আশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “হারের সঠিক কারণ কী বুঝতে পারছি না। তবে বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের। আমরা পর্যালোচনায় বসেছি।” এ দিকে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে রাজনগর উচ্চবিদ্যালয়ে ক্ষমতা অবশ্য ধরে রাখল তৃণমূল। সেখানে চারটি আসনে জয় পেয়েছেন জোটের প্রার্থীরা। বাকি দু’টি আসন পেয়েছে বামেরা।
এ দিন তৃণমূলের দখলে থাকা মুরারই বিধানসভা এলাকার তিনটি স্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনেও তৃণমূলের সার্বিক ফল বেশ খারাপ। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের একাংশের দাবি, স্থানীয় রতনপুর জেএন ইনস্টিটিউশনের নির্বাচনে দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরেই খালি হাতে ফিরতে হল তৃণমূলকে। রবিবার ওই স্কুলের নির্বাচনে উভয় গোষ্ঠীর ছয় জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছিলেন বামপন্থী প্রগতিশীল মোর্চা ও কংগ্রেস সমর্থিতরাও। সেখানে চারটি আসন দখল করলেন বামপন্থীরাই। অন্য দু’টি আসন পেয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিতরা। গত বার ওই স্কুল কংগ্রেসের দখলে ছিল।
অন্য দিকে, দীর্ঘ আট বছর পর বামপন্থীদের হারিয়ে রাজগ্রাম মহামায়া হাইস্কুলে জয়ী হলেন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। রবিবারের নির্বাচনে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামপন্থী প্রগতিশীল জোটের প্রার্থীরা নির্ধারিত ছ’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সব ক’টি আসনেই জয়ী হন কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। এ দিকে পাইকর হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে আসন কমল বামপন্থীদের। গত বার ছ’টি আসনই বামপন্থীদের দখলে থাকলেও, এ বার তাঁরা পেলেন তিনটি। বাকি তিনটি পেয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট।
অন্য দিকে, রবিবারই ময়ূরেশ্বর বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে ছ’টি আসনের পাঁচটিই দখল করলেন বামপন্থী প্রগতিশীল প্রার্থীরা। অন্যটি পেয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। গত বার চারটি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছিল জোট।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.