নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
রিভলভার নিয়ে বহুতল আবাসনে ঢুকে এক মহিলার উপরে চড়াও হল দুই যুবক। সোমবার আসানসোলের এই ঘটনায় মহিলার চেঁচামেচিতে অবশ্য রিভলভার ফেলে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে বহুতলের আবসিকদের মধ্যে। পুলিশ অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবাসনের কেয়ারটেকারকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়া, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার ভগৎ সিংহ মোড়ের কাছে একটি পাঁচ তলা আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। আবাসনের পাঁচ তলায় থাকেন ওই আবাসন সোসাইটির সম্পাদক বিজয় পাটনি। তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে। এ দিন ঘটনার সময়ে তিনি ও তাঁর ছেলে বাড়িতে ছিলেন না। ঘরে তাঁর স্ত্রী হিরাদেবী পাটনি একা ছিলেন। তিনি বলেন, “কলিংবেলের শব্দ পেয়ে আমি দরজা খুলে দেখি, দুই যুবক দাঁড়িয়ে আছে। তারা আমার ছেলেকে ডেকে দিতে বলে। ছেলে বাড়ি নেই শুনেই আমাকে একটি কাগজ দেওয়ার জন্য কাছে ডাকে। আমি কাছে যেতেই তারা আচমকা রিভলবার বের করে গলার কাছে চেপে ধরে। কিছু না ভেবে আমি চিৎকার শুরু করি। এর পরেই তারা দৌড়ে পালায়।”
মহিলার চিৎকার শুনে আশপাশের কয়েকটি ঘর থেকে লোকজন বেরিয়ে আসেন। তাঁরা দৌড়ে নীচে নামেন। কিন্তু তত ক্ষণে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে তাঁরা জানান। পালানোর সময়ে সিঁড়ির মুখে দুষ্কৃতীরা রিভলভারটি ফেলে যায়। ইতিমধ্যে অন্য আবাসিকেরা থানায় ফোন করলে পুলিশ পৌঁছয়। আবাসিকদের প্রশ্ন, কেয়ারটেকার থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে দু’জন অপিরিচিত যুবক আবাসনে উঠে পড়ল। দিনে-দুপুরে এমন ঘটনা ঘটায় সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আবাসিকেরা। আবাসনের কেয়ারটেকার সুনীল পোদ্দার বলেন, “আমি ওই সময়ে শৌচাগারে গিয়েছিলাম। সেই সুযোগেই দুষ্কৃতীরা ঢুকেছিল। আমি জানতে পারিনি।” কর্মরত অবস্থায় কাউকে কিছু না জানিয়ে তিনি আবসনের দরজা ফাঁকা রেখে শৌচাগারে গেলেন কেন, তার কোনও সদুত্তর অবশ্য কেয়ারটেকার দিতে পারেননি।
এই আবাসনে ২২টি পরিবার রয়েছে। সোমবারের ঘটনায় তাঁরা প্রত্যেকেই আতঙ্কিত। এমনই এক আবাসিক তথা ইস্কোর প্রাক্তন আধিকারিক অমিয় রায়ের কথায়, “দিনের আলোয় এ ভাবে রিভলভার-সহ আবাসনে দুই দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” বাসিন্দারা জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার কাছ থেকে আবাসনের দেখভালের জন্য তাঁরা কেয়ারটেকার নিয়োগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, কেয়ারটেকারকে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। |