হাসপাতালের ওয়ার্ডের শৌচাগারে পড়ে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বে থাকা নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নামে কর্তব্যে গাফিলতি করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। মৃত বিপুল সিংহ (৬২) তাঁর বাড়ির দারোয়ান। পরিবারে কেউ না-থাকায় বিপুলবাবু মেয়রের বাড়িতে থাকতেন। একাধিক রোগে আক্রান্ত অসুস্থ বিপুলবাবুকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। এ দিন বিপুলবাবু শৌচাগারে একাই গেলে স্বাস্থ্যকর্মীদের কেউ কেন সঙ্গে থাকেননি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিপুলবাবু শৌচাগারে পড়ে গেলেও স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁকে তুলতে যাননি বলে অভিযোগ। আলিউল হক নামে অন্য রোগীর এক আত্মীয় তাঁকে তুলে আনেন। চিকিৎসককে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে দেখেন বিপুলবাবু মারা গিয়েছেন। রোগীর মৃত্যুর পর ওয়ার্ডে দায়িত্বে কারা ছিলেন তা নিয়ে নার্স-ওয়ার্ড মাস্টারদের চাপানউতোর শুরু হয়। ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডোলমা ভুটিয়া জানান, রাতে ওই ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাইকর্মী কেউ ছিলেন না। একজন মাত্র নার্স ছিলেন। সকাল ৮ টা পর্যন্ত তাঁর ‘ডিউটি’ ছিল। রোগীদের ওষুধ খাওয়ানো, ইঞ্জেকশন দেওয়া-সহ নানা কাজ থাকে। ৩৪ জন রোগী একার পক্ষে সামলানো মুশকিল হয়। কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়। ওয়ার্ড মাস্টারদের তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ওয়ার্ড মাস্টার অফিস থেকে জানানো হয়, নার্স একা আছেন জেনে এক জন স্বাস্থ্য সহায়ক দেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁর নাম জানাতে পারেননি তাঁরা। নার্সের সঙ্গে সকাল ৮টা পর্যন্ত তাঁরও থাকার কথা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য। |