প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদের আইনজীবী জানান, বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার প্রতিলিপি তাঁরা পাননি। প্রতিলিপি ছাড়াই তাঁদের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেওয়া হোক। ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদকে অনুমতি দেয়। যদিও এ দিন বিকেলেই হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে বিচারপতি করগুপ্তের রায়ের প্রতিলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন পর্ষদের পক্ষে বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৫৫ লক্ষ আবেদনকারী প্রাথমিক শিক্ষক পদে পরীক্ষা দেবেন। তাঁরা গভীর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তাঁরা চান বিষয়টির সরাসরি নিষ্পত্তি হোক। ২১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের ছুটি পড়ে যাচ্ছে। খুলবে ২ জানুয়ারি। পর্ষদ ডিসেম্বরের শেষে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। নতুন বছরের আগে আপিল মামলার রায় প্রকাশের সম্ভাবনা নেই বললেই হয়।
তাই পর্ষদ চায়, হাইকোর্ট এমন একটা কিছু উপায় বের করে দিক, যাতে ওই পরীক্ষা যথা শীঘ্র সম্ভব নেওয়া যায় এবং কোনও মহল থেকেও কোনও আপত্তি না ওঠে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এক পর্ষদ-কর্তা এ দিন বলেন, “আমরা চাই নিয়োগ পরীক্ষা একটাই হোক। আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আবেদনকারীদের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছি। তবে হাইকোর্ট যদি কোনও বিকল্প পথের সন্ধান দেয়, তা আমরা মেনে নেব।”
পর্ষদ সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা সেরে নিতে চায়। না হলে ৫৫ লক্ষ আবেদনকারী এবং তাঁদের পরিবারের বিরাগভাজন হওয়ার আশঙ্কারয়েছে, যা কোনও ভাবেই চায় না রাজ্য সরকার।
কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণহীনদের পরীক্ষা এক সঙ্গে নিলে যে আপত্তি উঠবে, তা কি আগে থেকে বুঝতে পারেননি পর্ষদ-কর্তারা? এক পর্ষদ-কর্তা বলেন, “আমরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য যে নিয়মটা তৈরি করেছিলাম, তা ওয়েবসাইটে দিয়েছিলাম। কিন্তু তখন সে ব্যাপারে কোনও আপত্তি ওঠেনি। সেই সময় কোনও আপত্তি উঠলে তা খতিয়ে দেখার অবকাশ ছিল। তাতে বর্তমান জটিলতাও এড়ানো যেত।” |