|
|
|
|
জামিন পেলেন ‘মাওবাদী’ আদরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
‘মাওবাদী’ আদরি মুর্মুর জামিন মঞ্জুর করল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। সোমবার বিকেলে দাদা কানাই মুর্মুর সঙ্গে বিনপুরের তেঁতুলডাঙা গ্রামের বাড়িতে ফিরে গেলেন আদরি।
চলতি বছর ২২ জুলাই ওড়িশার সীমানা লাগোয়া গোপীবল্লভপুরের ফুলাকেন্দু গ্রাম থেকে আদরিকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করে পুলিশ। ওই দিন সাংবাদিক বৈঠক করে ঝাড়গ্রামের এসপি ভারতী ঘোষ দাবি করেছিলেন, আদরি হলেন মাওবাদীদের গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম এলাকার ‘ডেপুটি এরিয়া-কমান্ডার’। গোপীবল্লভপুর ও নয়াগ্রাম থানা এলাকার রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন, অপহরণ ও হামলা-নাশকতার ৬টি মামলায় আদরিকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু গ্রেফতার করার পর প্রায় পাঁচ মাস কেটে গেলেও একটি মামলাতেও আদরির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি পুলিশ। ইতিপূর্বে ৫টি মামলায় আদরির জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
সোমরার হাজিরার দিন থাকায় মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে নিয়ে এসে আদরিকে ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বশেষ মামলাটিতে আদরির জামিননামা দাখিল করেন তাঁর আইনজাবী কৌশিক সিংহ। জামিন মঞ্জুর করে আদালত। অভিযুক্তের আইনজীবী কৌশিক সিংহ বলেন, “রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন-নাশকতার মামলাগুলিতে পরিকল্পিত ভাবে আদরিকে জড়ানো হয়েছিল। তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধৃতের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমাণ-সহ আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি পুলিশ।” তাঁর আরও অভিযোগ, “মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকাকালীন আদালতের নির্দেশে আদরির চোখের চিকিৎসা যথাযথ করাননি জেল কর্তৃপক্ষ।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
এ দিন দাদার সঙ্গে সাইকেলে চেপে বাড়ি যাওয়ার সময় আদরি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
|
|
|
|
|