|
|
|
|
কাঁথিতে ভুখা মিছিল এবিজি-র কাজহারাদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
এবিজি-বিতাড়নের জন্য সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করে আগেই পথে নেমেছিলেন কাজহারা শ্রমিকেরা। এ বার তাঁরা শুভেন্দুর শহর কাঁথিতে গিয়ে ভুখা মিছিল করলেন। হল সভা। পোড়ানো হল তৃণমূল সাংসদের কুশপুতুল। গোটা কর্মসূচিতে নেতৃত্বে ছিল কংগ্রেস।
এবিজি প্রসঙ্গটিকে রাজ্য রাজনীতিতে তুরুপের তাস করতে চাইছে কংগ্রেস। বন্দরে পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি হলদিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে কাজহারা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় ‘হলদিয়া চলো’ অভিযানের ডাক দেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। গত ২০ নভেম্বর শিল্পশহরের চিরঞ্জীবপুরে হয়েছিল সেই সভা। |
|
কাঁথিতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে মিছিল। ছবি: সুব্রত গুহ। |
তারপর রেলের কারখানা পরিদর্শনে এসে সটান কাজহারা শ্রমিকদের অবস্থান-মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেলের প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। আর এ দিন কাঁথিতে কাজহারা শ্রমিকদের ভুখা মিছিলে পুরোভাগে দেখা দেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে। ছিলেন জেলা মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদিকা ঝর্না গিরি।
প্রায় ২৫০ জন কাজহারা শ্রমিক এ দিন মিছিলে পা মেলান। পরে সরস্বতীতলায় হয় সভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কনিষ্কবাবু অভিযোগ করেন, “শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক উদেশ্য প্রণোদিত হয়ে তৃণমূলেরই এক নেতার সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে হলদিয়া থেকে এবিজিকে তাড়িয়েছেন।” কিন্তু কাঁথিতে এসে সভা-মিছিল কেন? কাজহারা শ্রমিকদের পক্ষে শেখ সিরাজ আলি, নূর আলম, বিশ্বজিৎ মাইতিরা বলেন, “আমরা যখন সাংসদকে প্রশ্ন করেছিলাম এবিজি চলে গেলে খাব কী, তখন উনি বলেছিলেন শ্রমিকরা কী খাবে বলে দেবেন। তাই মেনু জানতেই সাংসদের শহরে এসেছি।” শুভেন্দু অবশ্য এ দিন কাঁথিতে ছিলেন না। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। |
|
|
|
|
|