তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের ৭০তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন হল পূর্ব মেদিনীপুরে।
১৯৪২ সালের ১৭ ডিসেম্বর তমলুকে যে জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তার বর্ষপূর্তি পালন করতে সোমবার সকালে তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহিদবেদিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের অন্যতম সেনানী বিপ্লবী সুশীল ধাড়ার আত্মজীবনী ‘প্রবাহ’র তৃতীয় খণ্ড ও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের স্মারকগ্রন্থ ‘আগুনের পরশমণি’ উদ্বোধন করেন সাংসদ। |
স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা যায় বিপ্লবী সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, সুশীল ধাড়াদের স্মৃতি বিজড়িত নিমতৌড়ি দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ নারিকেলদা দেশবন্ধু হাইস্কুল ও গণপতিনগরে শহিদ স্মারকস্তম্ভে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে পাঁচ দিন ব্যাপী জাতীয় মেলার উদ্বোধন হয় এ দিনই। মেলায় আলোচনাসভা, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে সতীশ, অজয় ও সুশীলতিন বিপ্লবীর পূর্ণাঙ্গ মূর্তি বসানো হবে বলে জানান শুভেন্দু। নিমতৌড়িতে একটি টাউন লাইব্রেরি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির অফিস প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তিতে মাল্যদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসও। সকালে তমলুকে জেলা কংগ্রেস অফিস প্রাঙ্গণে সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়, রজনী প্রামাণিক প্রমুখ বিপ্লবীর মূর্তিতে মাল্যদান করেন অসিত পাল-সহ জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। তমলুক পুরসভাও বিপ্লবীদের মূর্তিতে মাল্যদান করে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে। |