নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সচিন তেন্ডুলকরের অবসর নেওয়া উচিত কি উচিত নয়, এই নিয়ে জোর আলোচনা ক্রিকেট বিশ্বেই!
ক্রিকেটের নামী দামি ব্যক্তিত্বরাও যখন মাস্টার ব্লাস্টারের অবসর প্রসঙ্গে দ্বিধাবিভক্ত, তখন সচিনের পাশে দাঁড়াচ্ছেন গ্র্যান্ডমাস্টার বিশ্বনাথন আনন্দ।
রাজা-মন্ত্রী-বোড়েদের সাম্রাজ্যের পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের অবসর নিয়েও তো কম সমালোচনা হচ্ছে না। সে কারণেই বোধহয় সচিনের পরিস্থিতিটা ছুঁয়ে যাচ্ছে আনন্দকে। সোমবার দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে এসে পরিষ্কার বলে দিলেন, “খারাপ ফর্মে থাকলে সমালোচনা হতেই পারে। তবে সচিনের মতো ক্রিকেটার কবে খেলা ছাড়বে, সেই সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিতে পারে না। সময় হলে ও নিজেই সরে দাঁড়াবে।”
|
সোমবার কলকাতার এক স্কুলে বিশ্বনাথন আনন্দ। ছবি: উৎপল সরকার |
সচিনের থেকে বয়সে কিছুটা বড় হলেও প্রায় একই সঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আনন্দ। ৩৯ বছরে এসেও যেভাবে রানের খিদে তাড়া করে বেড়াচ্ছে লিটল মাস্টারকে, তেমনই ৪৩ বছর বয়সেও সাফল্যের নেশায় বুঁদ আনন্দ। নিন্দুকদের কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়েই ভারতের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টারের ঘোষণা, ৫০ বছর পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি।
এ দিন বললেন, “আমি মনে করি ৫০ বছর পর্যন্ত দাবা খেলাটা চালিয়ে যাওয়া যায়। আর যত দিন আমি দাবা খেলে আনন্দ পাব তত দিন অবসরের প্রশ্নই ওঠে না। বয়সটা মোটেও বড় বিষয় নয়।”
ক্রিকেট প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি জানিয়ে দিলেন তাঁর ফেভারিট তিন ক্রীড়াবিদের মধ্যে দু ’জনই ক্রিকেটার।
সচিন তেন্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আর বাকি একজন লিয়েন্ডার পেজ।
শুধু কি ক্রিকেট আর টেনিস! আনন্দের পছন্দের খেলার যে তালিকা রয়েছে, তাতে একদম উপরের দিকে ফুটবল। নিজে রিয়াল মাদ্রিদের বড় ভক্ত। কিন্তু রিয়াল-ভক্ত হলে কী হবে, তাঁর সবচেয়ে পছন্দের ফুটবলারের নাম লিয়নেল মেসি। বললেন, “আমি মেসিকেই এগিয়ে রাখব। রোনাল্ডোও বড় মাপের ফুটবলার। তবে সব দিক বিচার করলে মেসিই সেরা।” |