অভিযুক্ত তৃণমূল
সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর জাঙ্গিপাড়ায়
রাতের অন্ধকারে ভাঙচুর হল সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে। তৃণমূলের লোকজনই হামলা চালায় বলে অভিযোগ সিপিএম নেতৃত্বের। ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে তারা। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার রাজবলহাটে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি। সিপিএমের উপর পুরনো ক্ষোভ মেটাতে গ্রামবাসীরাই ভাঙচুর চালায় বলে তাঁদের দাবি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রহিমপুর গ্রামে সিপিএমের রাজবলহাট ২ পঞ্চায়েত পূর্ব শাখা অফিসে রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ১০-১২ জন যুবক হানা দেয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে টেলিভিশন আছড়ে ভাঙে। সিলিং পাখা ভাঙচুর করা হয়। তছনছ করা হয় পোস্টার, পতাকা, ফেস্টুন। ভাঙা দরজা পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকালে হরিপাল থেকে উদয়নারায়ণপুর যাওয়ার ৯ নম্বর রুট অবরোধ করে সিপিএমের লোকেরা।
লণ্ডভণ্ড কার্যালয়। ছবি: দীপঙ্কর দে।
পুলিশ দোষীদের ধরার আশ্বাস দিলে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ ওঠে। থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতটি সিপিএমের দখলে রয়েছে।
সিপিএম নেতারা বলছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর ওই এলাকায় দলের কৃষকসভার ব্লক সম্মেলন রয়েছে। ওই কর্মসূচি বানচাল করতেই হামলা চালায় তৃণমূলের ছেলেরা। ওই কর্মসূচির প্রচার চালাতেও নিষেধ করা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। সিপিএম নেতা অরূপ বসুমল্লিকের অভিযোগ, “আমাদের সময়ে অন্য দল অবাধে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারত। আমরা কিন্তু তা পারছি না। ওরা আমাদের কর্মীদের মারছে। পার্টি অফিসে হামলা করছে।” স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “সিপিএমের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের ইয়ত্তা নেই। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এতে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নন।” বিধায়কের কটাক্ষ, “সিপিএম যে বিরোধীদের কত রাজনৈতিক কার্যকলাপ করতে দিত তা জাঙ্গিপাড়া, আরামবাগ, খানাকুলের সবাই জানেন!”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.