|
|
|
|
প্রবন্ধ ১... |
নরেন্দ্র মোদী উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ‘বিকাশপুরুষ’ নন |
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতে উন্নয়নের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, এই ধারণাটির পিছনে
প্রচারের
অবদান
অনেকখানি। উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতি তিনি পিছনে ফেলে
আসেননি।
২০১৪ সালের জন্য নিজের নতুন ভাবমূর্তি তৈরি করছেন মাত্র। অমিতাভ গুপ্ত |
ভারতে গত কয়েক বছরে একটি রূপকথা তৈরি হয়েছে নরেন্দ্র মোদী। ২০০২ সালের মার্চ মাসের মোদী নন, তিনি নাকি এখন অতীত। এই নতুন মোদী গুজরাতের ‘বিকাশপুরুষ’, উন্নয়নের ভগীরথ। সেই রূপকথা মোদীকে গুজরাতে এ দফায় কত আসন এনে দিতে পারে, ই ভি এম-এ তা ইতিমধ্যেই স্থির হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু ফল জানার অপেক্ষা। কিন্তু গুজরাতের নির্বাচনে কী ফল হল, সেটা মূল প্রশ্ন নয়। মোদীর রূপকথায় কতটা খাঁটি আর কতখানি নিছক প্রচার, সেটা জানা জরুরি। ২০১৪ সালে তিনি দিল্লির মসনদে বসলে দেশ কোন পথে যেতে পারে, সেটাও বোঝা প্রয়োজন।
রূপকথা এমনি তৈরি হয় না। অ্যাপকো ওয়ার্ল্ডওয়াইড নামের একটি মার্কিন জনসংযোগ সংস্থা সরকারি ভাবে মোদীর ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাত’-এর প্রচার করে বকলমে মোদীর। মোদী গুজরাতের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর রাজ্যে বিনিয়োগের বান ডাকছে এই গল্প কী ভাবে গোটা দুনিয়ার সামনে পেশ করা হবে, স্থির করে অ্যাপকো।সব বিজ্ঞাপনেই কিছু কিছু কথা না বলা থেকে যায় মোদীর বিজ্ঞাপনেও তাই। বলা হয়, মুকেশ অম্বানীর মতে মোদী নাকি গুজরাতকে সোনার রাজ্যে পরিণত করেছেন। কিন্তু কার জন্য সেই সোনার রাজ্য, সেটা কোথাও শোনা যায় না। কোথাও বলা হয় না, তাঁর রাজ্যে শিল্প আসে কারণ তিনি পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামান না, অন্তহীন কর ছাড় দেন, বিনা সুদে টাকা ধার দেন, প্রথম কুড়ি বছরে জমির দাম বাবদ কানাকড়িটি ঠেকাতে হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কোথাও বলা হয় না, ঠিক যে সময়ে গুজরাতে আর্থিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে, সেই সময়েই মানব উন্নয়ন সূচকের নিরিখে বেশ কয়েক ধাপ নেমে গিয়েছে রাজ্যটি। রাজ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৬৯.৭ শতাংশ রক্তাল্পতায় ভোগে ভারতে সবচেয়ে বেশি। রাজ্যে ২৫ শতাংশ মানুষ রোজ রাত্রে খালি পেটে ঘুমোতে যান।
গুজরাতে শিল্প হয়েছে, আয়বৃদ্ধি (গ্রোথ) হয়েছে, উন্নয়ন হয়নি। নানান ছাড়ের লোভ দেখিয়ে শিল্প টেনে আনা হয়েছে, তার সুফল আমজনতার কাছে পৌঁছয়নি। যাঁরা সামাজিক ভাবে যত অনগ্রসর, তাঁদের কাছে বৃদ্ধির সুফল তত কম পৌঁছেছে। ১১ বছর মুখ্যমন্ত্রিত্বের পর এই যাঁর খতিয়ান, তাঁকে ‘বিকাশপুরুষ’ আখ্যা দেওয়ার কারণ নেই, তাঁর উন্নয়নের মডেল নিয়ে মাতামাতি করার আরও কারণ নেই। |
|
অতীত? সত্যিই উগ্র হিন্দুত্ব থেকে সরে এসেছেন নরেন্দ্র মোদী? |
তবু মোদীর প্রচারের কেন্দ্রে রয়েছে আর্থিক উন্নয়ন যে উন্নয়ন আসলে হয়নি, সেটাই। কেন, তার কয়েকটা কারণ রয়েছে।
মোদীর ইশতেহারে একটা শব্দ প্রত্যেকের চোখে পড়েছিল: ‘নিয়ো মিডল ক্লাস’। নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণি। গুজরাতে এই শ্রেণিটি ক্রমে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। শব্দবন্ধটির ভাষার কায়দা সরিয়ে নিলে দাঁড়ায় নিম্নবিত্ত থেকে যে শ্রেণি ক্রমে শহুরে নিম্ন-মধ্যবিত্ত হয়ে উঠছে। এই শ্রেণিতে ভোটারের সংখ্যা কত, নিখুঁত ভাবে বলা কঠিন। তবে, ভারতের জাতীয় গড়ের তুলনায় গুজরাতে শহরাঞ্চলে অনেক বেশি মানুষ বাস করেন মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ। এঁদের মধ্যে নব্য মধ্যবিত্তের অনুপাত মন্দ নয়। এখনও যাঁরা গ্রামে রয়ে গিয়েছেন, তাঁদেরও অনেকেরই ইচ্ছে শহরে এসে মধ্যবিত্ত হওয়ার। তরুণদের মধ্যেই এই ইচ্ছে বেশি হওয়া স্বাভাবিক। গুজরাতের ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে। একটা চটজলদি হিসেব বলছে, নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্লোগানে রাজ্যের মোট ভোটারের প্রায় সিকি ভাগকে ধরে ফেলা যায়। এবং, সেই ভোটার মূলত শহুরে নরেন্দ্র মোদী ভোটে জেতার জন্য যে শহরাঞ্চলগুলোর দিকে তাকিয়ে আছেন, সেখানকার। |
কেন শহরই ভরসা |
ভোটের জন্য মোদীকে কেন শহরের মুখ চেয়েই থাকতে হচ্ছে? কয়েকটা কারণ রাজনৈতিক। গুজরাতের সবচেয়ে প্রভাবশালী জাত পটেলরা ১৯৮০-র দশকে কংগ্রেসকে ত্যাগ করে মুখ ফিরিয়েছিল বিজেপি-র দিকে। তার পিছনে ব্যক্তি কেশুভাই পটেলের অবদান কতটা, সে তর্কে আপাতত ঢোকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ‘কেশুবাপা’ যে এখনও, এই ৮৪ বছর বয়সেও, পটেল সমাজে প্রতিপত্তিশালী, তা অনস্বীকার্য। সেই ভরসাতেই তিনি রাজনৈতিক বানপ্রস্থ থেকে ফিরে এসে গুজরাত পরিবর্তন পার্টি তৈরি করেছেন। তাঁর দলের নির্বাচনী ফল কী হবে তা সময় বলবে, তবে মোদীর পটেল ভোটব্যাঙ্ক আর নিশ্চিত নেই।
গুজরাতে বিজেপি-র সবাই মোদীর সমর্থক, তা-ও নয়। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে বার তিনেক জোরদার চেষ্টা হয়েছে। সফল হয়নি, তার একটা বড় কারণ মোদীর প্রতি দিল্লির সমর্থন। অন্য দিকে সঙ্ঘ পরিবারও ‘ব্র্যান্ড মোদী’ নিয়ে খুশি নয় নাগপুরের অভিযোগ, মোদী সঙ্ঘকে ছাপিয়ে নিজেই প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছেন।
তবে মোদীকে কেন শুধু শহরের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে, তা রাজনীতির সমীকরণ দিয়ে পুরোটা বোঝা যাবে না। তাঁর আর্থিক বৃদ্ধির মডেলের কথা আসবে, অনুন্নয়নের কথা আসবে। সৌরাষ্ট্রের বিধায়ক ডাক্তার কানু কালসারিয়ার কথাও আসবে। বিজেপি-রই বিধায়ক ছিলেন তিনি। কিন্তু সৌরাষ্ট্রের উপকূল অঞ্চলে পরিবেশের পক্ষে অতি বিপজ্জনক সিমেন্ট কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। নতুন দল গড়ে সৌরাষ্ট্রে তিনি এ বার সরাসরি মোদীর ‘উন্নয়নের মডেল’-এর বিরোধিতায় নেমেছেন।
কানু কালসারিয়া প্রতীকমাত্র। মোদীর শিল্পায়নের অত্যুৎসাহ গুজরাতের দীর্ঘ উপকূল অঞ্চলে প্রভূত অসন্তোষ তৈরি করেছে। অসন্তোষ কৃষিতেও। রাজ্য সরকার হিসেব দেবে, কৃষিতে আয় বৃদ্ধির হার গোটা দেশের তুলনায় গুজরাতে বেশি। কিন্তু বলবে না, খাদ্যশস্যের উৎপাদন কমছে, যা বাড়ছে তা বাণিজ্যিক পণ্য মূলত বিটি তুলো।
তার ওপর আছে খরা। গুজরাতের ১৪টা জেলা এই বছর খরার কবলে পড়েছিল। মোদী জানেন, ভারতে এখনও অবধি একটি রাজ্য ছাড়া খরার বছরের ভোটে কোনও সরকার ক্ষমতায় ফেরেনি। যে রাজ্যে ফিরেছে, তার নাম পশ্চিমবঙ্গ। মোদী এই নির্বাচনেও জয়ী হবেন, বাজি ধরতে রাজি আছি। কিন্তু গ্রামের ভোট তাঁকে উদ্বেগে রেখেছে। আর কেউ না জানুক, তিনি তো জানেন তাঁর আমলে শিল্প এসেছে ঠিকই, উন্নয়ন হয়নি। শিল্পের গাজরে যারা এখনও ভুলবে, তাদের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া মোদীর আর উপায় নেই। |
উগ্র হিন্দুত্ব তেমনই আছে |
দুটো কথা, অতএব, পরিষ্কার। এক, গুজরাতের উন্নয়ন নিয়ে যত আলোচনা হয়, তা অতিকথন; দুই, নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে নিয়ে মোদীর মাথাব্যথার কারণ যতটা না এই শ্রেণির উন্নতিচিন্তা থেকে, তার ঢের বেশি নির্বাচনী সমীকরণের দায়ে। পড়ে থাকল একটাই প্রশ্ন সত্যিই কি ২০০২ সালের মোদী অতীত? হিন্দুত্বের ‘পোস্টার বয়’ সরে এসেছেন উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতি থেকে?
মোদীর অনুরাগীরা বিজেপি-র নির্বাচনী ইশ্তেহার পড়ে জোর গলায় প্রশ্ন করছেন দেখান তো, এর মধ্যে মুসলমান বিদ্বেষের ছিটেফোঁটাও আছে কি না? নেই। কিন্তু সেই ইশ্তেহারে যা নেই, সেখানেই বিদ্বেষ এবং বিভেদের বাস। গুজরাতের মুসলমানরা যে সর্বার্থেই সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা শ্রেণি (বিভিন্ন জনজাতিও একই রকম পিছিয়ে, অস্বীকার করার উপায় নেই), সেই মুসলমানদের উন্নয়নের জন্য ইশ্তেহারে একটিমাত্র প্রতিশ্রুতি আছে: সরকার মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হবে! মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
বক্তৃতায় মুসলমান-বিদ্বেষও নিয়মিত আছে। ২০০৭ সালে যেমন মোদী মুসলমানদের ‘মিয়া মুশারফ’ বলে উল্লেখ করতেন, ২০১২ সালে তিনি বেছে নিয়েছেন সনিয়া গাঁধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলকে। তাঁর নাম হয়েছে আমহেদ মিয়া। এই আপাত-নিরীহ সম্বোধনের আসল গুরুত্ব বুঝতে গেলে গুজরাতের সামাজিক আবহাওয়ার খবর নিতে হবে। খাস আমদাবাদের কোনও প্রথম শ্রেণির স্কুলে মুসলমান পরিবারের সন্তানকে ভর্তি করানো এখন কার্যত অসম্ভব। সরকারি চাকরিতে মুসলমান বলতে গেলে নেই। গোটা গুজরাতেই মুসলমানরা কোণঠাসা, এবং নরেন্দ্র মোদী সেই অবস্থা পরিবর্তনে এক চুলও আগ্রহ দেখিয়েছেন বললে মিথ্যে বলা হবে। বস্তুত তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের, এবং রাজনৈতিক অস্তিত্বের, একটা বড় খুঁটি হল তাঁর মুসলমান বিরোধী ভাবমূর্তি। সঙ্ঘ পরিবার যে গুজরাতকে ‘হিন্দুত্বের পরীক্ষাগার’ হিসেবে বেছে নিয়েছিল, তা অকারণে নয়। সাধারণ হিন্দুদের মনে যে মুসলমান-বিরোধিতা আছে, নরেন্দ্র মোদী তার পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ব্যবহার করেছেন। কংগ্রেস জিতলে যেহেতু আহমেদ পটেলেরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা, তাই তাঁর ধর্মীয় পরিচয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে হিন্দুত্বের পালে হাওয়া টেনেছেন মোদী।
যা আরও মারাত্মক, তাঁর মুসলমান-বিদ্বেষী রাজনীতিই গুজরাতের প্রধান রাজনৈতিক ধারা হয়ে উঠেছে। গুজরাতে বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় ১৮২ জনের মধ্যে এক জনও মুসলমান নেই। কংগ্রেসের তালিকায় মাত্র সাত জন। রাজ্যের জনসংখ্যার নয় শতাংশ মুসলমান। শুধু সেই অনুপাতটুকু বজায় রাখতে হলেও অন্তত ১৭ জন মুসলমান প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক ছিল। নেই। সেটা সুলক্ষণ নয়।
২০০৭-এ সনিয়া গাঁধী মোদীকে ‘মওত কা সওদাগর’ বলার পরই বিজেপি পাল্টা হিন্দুত্বের হাওয়া তোলে। রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস, সেই হাওয়াতেই কংগ্রেসের যেটুকু ছিল, তা-ও উড়ে যায়। এ বার তাই কংগ্রেস সাবধান, পরিবর্তন পার্টিও ২০০২-এর গণহত্যার প্রসঙ্গ কেউ তুলছে না। মোদীও জানেন, তাঁর হিন্দুত্বের তরোয়াল কেউ কাড়তে পারবে না অতএব তিনিও আর উচ্চৈঃস্বরে হিন্দুত্বের জয়ধ্বনি দিচ্ছেন না।
প্রশ্ন হল, ‘হিন্দুত্বের পরীক্ষাগার’ গুজরাতে যে উগ্র হিন্দুত্বের রাজনীতি তাঁকে ২০০১ সালে মসনদে বসিয়েছিল, তিনি প্রকাশ্যে সেই রাজনীতির ভাষা থেকে সরে আসছেন কেন? এই প্রশ্নের উত্তর গুজরাতে নেই, দিল্লিতে আছে। তাঁর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধাটি তিনি নিজেই তৈরি করে রেখেছেন সেই ২০০২ সালে। বাইরে তো বটেই, এনডিএ-র ভিতরেও তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন প্রচুর। এখন যেমন, ২০১০ সালেও মোদী বিজেপি-র সবচেয়ে বড় সুপারস্টার ছিলেন। নীতীশ কুমার কিন্তু তাঁকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য বিহারে ঢুকতে দেননি। নীতীশ কুমার এখনও নিজের অবস্থান বদলাননি। দেশের অধিকাংশ মানুষও এই একটি ব্যাপারে নীতীশ কুমারের পাশেই আছেন।
মোদীও জানেন, ২০১৪ সালে এনডিএ ক্ষমতায় এলে (ভাগ্যক্রমে যে সম্ভাবনা এখনও তেমন প্রবল নয়) তাঁকে যদি প্রধানমন্ত্রী হতে হয়, তবে ২০০২-এর রক্তের দাগ হাত থেকে মুছে ফেলতেই হবে। এখানেই মোদীর সঙ্গে তাঁর ‘মার্গদর্শক’ বাল কেশব ঠাকরের ফারাক। ঠাকরের কোনও সর্বভারতীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না ১৯৯৩-এর কলঙ্ক মোচনে তাই তাঁর গরজ ছিল না। মোদীর আছে। সেই কারণেই হিন্দুত্বের স্লোগান পিছনের সারিতে। জনসংযোগ সংস্থাকে দিয়ে নিজের ‘উন্নয়নের ভগীরথ’ ভাবমূর্তি তৈরি করাতে হচ্ছে তাঁকে।
২০১৪ সালের উচ্চাকাঙ্ক্ষা যদি পূরণ হয়, তবে কে বলতে পারে, উন্নয়নের মুখোশ সরিয়ে ২০০২ সালের নরেন্দ্র মোদীর মুখই একমাত্র হয়ে উঠবে না? |
|
|
|
|
|