|
|
|
|
স্কুলে খাবার দিতে বাড়তি অর্থ, আশ্বাস খোদ মন্ত্রীর |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ভর্তুকির গ্যাস পর্যাপ্ত পরিমাণে না-মিললে স্কুলে কী ভাবে খাবার দেওয়া যাবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পল্লম রাজু আশ্বাস দিলেন, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি না-বাড়ালেও মিড-ডে মিল প্রকল্প চালাতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, সোমবার দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানের পরে রাজু বলেন, “এলপিজি গ্যাসে ভর্তুকি উঠে যাওয়ায় স্কুলে দুপুরের খাবার দেওয়ার প্রকল্পে অতিরিক্ত ৬৫৩ কোটি টাকা খরচ করা হবে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক বা অর্থ মন্ত্রক যা-ই দিক না কেন, মিড-ডে মিলে খাবারের মানের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করা হবে না। ওই প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে-কোনও ভাবে অর্থের বন্দোবস্ত করা হবে।”
ভর্তুকিতে পাওয়া এলপিজি সিলিন্ডারের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও এই সঙ্কট মূলত শহরাঞ্চলে। কারণ, গ্রামাঞ্চলে এখনও জ্বালানি হিসেবে কাঠ বা কয়লা ব্যবহার করেই মিড-ডে মিল রান্না হয়। প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী কপিল সিব্বল পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে মিড-ডে মিলের জন্য ভর্তুকিতে পাওয়া সিলিন্ডারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য চিঠি লিখেছিলেন। কিন্তু পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ওই প্রস্তাব মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, ভর্তুকিতে পাওয়া সিলিন্ডারের সংখ্যা না-বাড়লেও কোনও ভাবেই মিড-ডে মিল প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হবে না। নতুন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সোমবার ফের সে-কথাই জানান। যদিও কী ভাবে টাকার বন্দোবস্ত হবে, সেই ব্যাপারে এ দিন তিনি কিছু জানাননি।
স্কুলে দুপুরের খাবার নিয়ে এ দিন কলককাতাতেও একই আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বরং আরও এক ধাপ এগিয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের কাছ থেকে সাহায্য না-মিললেও প্রকল্প চলবে। কিন্তু বাচ্চাদের খাবারের জন্য সিলিন্ডারের দামে ছাড় না-দেওয়াটাই প্রমাণ করে, কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে অনুভূতিহীন।”
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, মিড-ডে মিল প্রকল্পে রান্নার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হতে পারে বলে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। যদিও পরবর্তী কেন্দ্রীয় বাজেটে, নাকি তার আগেই বাড়তি অর্থ দেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে কিছু জানেন না রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা। |
|
|
|
|
|