|
|
|
|
মায়া-মুলায়মকে সঙ্গে রাখতে কৌশলী কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সনিয়া গাঁধী কাউকেই হারাতে চাইছেন না। মায়াবতীকে সঙ্গে রাখতে হবে। আবার মুলায়ম সিংহকেও চটালে চলবে না। এই অবস্থায় মায়ার দাবি মেনে সরকার পদোন্নতিতে তফসিলিদের সংরক্ষণের বিল রাজ্যসভায় পাশ করালেও লোকসভায় তা পেশ করা নিয়ে সময় কাটানোর কৌশলই নিয়েছে। কারণ, এফডিআই ভোটাভুটি বয়কট করে সরকারকে সাহায্য করেছিলেন মুলায়মও। এবং তিনি সংরক্ষণ বিলের ঘোর বিরোধী। এই বিলের প্রতিবাদে সপা আজও লোকসভা অচল করে রাখে। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এই অবস্থায় কৌশলে মুলায়মকেও পাশে রাখতে চাইছে কংগ্রেস। রাজ্যসভায় পাশ করালেও সংরক্ষণ বিলটি সংসদের চলতি অধিবেশনে লোকসভায় পাশ করানোর ব্যাপারে খুব বেশি তৎপরতা দেখাবে না সরকার। এক মন্ত্রীর কথায়, অধিবেশনের বাকি রয়েছে মাত্র তিন দিন। ফলে সরকারের তরফে বলা হবে, সময়াভাবেই বিলটি এ যাত্রায় লোকসভায় পাশ করানো গেল না।
পদোন্নতিতে সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিলটি রাজ্যসভায় পেশ করা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছিল সপা। সেই কারণে রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করতে দেরি করে কংগ্রেস। কংগ্রেস-মুলায়ম এ ব্যাপারে সমঝোতা হচ্ছে, বুঝতে পেরে সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন মায়াবতী। শেষ পর্যন্ত সপা-র বিরোধিতা সত্ত্বেও গত বৃহস্পতিবার বিলটি নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হয়। কংগ্রেসের বক্তব্য, আজ রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার পর মায়াবতী এর কৃতিত্ব নিতে পারবেন। সপা-র বিরোধিতায় লোকসভায় বিলটি পেশ করা না গেলে, তার কৃতিত্ব নিতে পারবেন মুলায়মও। ফলে দু’জনের স্বার্থই অটুট রইল।
পদোন্নতিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থার সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়টিতে আজ কংগ্রেস এবং বিজেপি সমর্থন জানালেও, দু’দলেরই আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য উচ্চবর্ণের মন রাখতে শেষ পর্যন্ত আজ বিজেপি-র সঙ্গে আলোচনা করে সংশোধন প্রস্তাবও পাশ করিয়েছে সরকার। বলা হয়েছে, পদোন্নতিতে তফসিলিদের সংরক্ষণ দেওয়া হলেও দেখা হবে দক্ষতা। সরকারের প্রাক্তন শরিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিলটি নিয়েও নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। যদিও বিলটির ভোটাভুটিতে তৃণমূল বিরোধিতা করেনি। মমতার বক্তব্য, তৃণমূল তফসিলিদের সংরক্ষণের পক্ষে। কিন্তু মুসলিম এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকেও সংরক্ষণের সুযোগ দিতে হবে সরকারকে। পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি ও মুসলিমদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্র কিন্তু আজকের বিলে মুসলিম ও ওবিসি সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু বলেনি। তা ছাড়া অর্থনৈতিক অনগ্রসরদের কথাও সরকারকে ভাবতে হবে। |
|
|
|
|
|