|
|
|
|
আসন বাড়িয়ে ফিরছেন মোদীই, বলছে সমীক্ষা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
আর মাত্র তেরাত্তির। তার পরেই গুজরাত তথা গোটা দেশ জেনে যাবে, জনমত কার দিকে। নরেন্দ্র মোদী না কংগ্রেস?
মোদী অবশ্য সেই দীপাবলির সময়েই বলে দিয়েছেন, ২০ ডিসেম্বর ভোটের ফল প্রকাশের দিন ফের আলোর উৎসবে মাতবে গুজরাত। আজই দ্বিতীয় দফার ভোট শেষ হয়েছে। রেকর্ড ভোট পড়েছে আজও, ৭০ শতাংশ। বস্তুত, এর আগে গুজরাতে সব থেকে বেশি ভোট পড়ার রেকর্ড হয়েছিল ১৯৬৭ সালে, ৬৩.৭ শতাংশ। আর এই ভোটের হাওয়ায় প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষাই বলছে, হাওয়া আসলে মোদীর পালে। বিরোধীদের যাবতীয় প্রত্যাশায় জল ঢেলে তিনি হ্যাটট্রিকের পথে। |
|
কিন্তু এ বারের নির্বাচনে নিছক জয়ই মোদীর লক্ষ্য ছিল না। তাঁর লক্ষ্য, গত নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে পড়া ১১৭টি আসনের সীমা অতিক্রম করা। যাতে তাঁর শক্তি বাড়ে। আর সেই শক্তি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজের দাপট আরও বাড়াতে পারেন তিনি। মোদীর এই স্বপ্নকে ভেস্তে দিতেও মরিয়া চেষ্টা করেছেন তাঁর বিরোধীরা। কিন্তু বুথ ফেরত সমীক্ষা সেই দিক থেকে কিছুটা স্বস্তিতেই রেখেছে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে। এবিপি-এসি নিয়েলসেনের বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, মোদীর দল এ বারে ১২৬টি আসন পাবে। তুলনায় কংগ্রেসের আসন গত বারের ৫৯ থেকে কমে দাঁড়াবে ৫০-এ। আর অন্য দলগুলির খাতায় ৬। প্রায় একই ইঙ্গিত বাকি সমীক্ষাগুলিতেও। কোনওটিতেই গত বারের আসনের থেকে কম পাচ্ছেন না মোদী।
বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল যে সব সময় সঠিক প্রমাণিত হয়, তা নয়। এ ধরনের সমীক্ষার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়েও নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা সত্ত্বেও এই ধরনের সমীক্ষা থেকে ভোটারদের মন কোন দিকে, তার একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আজকের সব সমীক্ষার ফল আপাতত স্বস্তিতেই রাখছে মোদীকে। যার ভিত্তিতে আত্মবিশ্বাসী মোদী বিজয়-বক্তৃতার ধাঁচে একটি ব্লগও লিখে ফেলেছেন। সেখানে তাঁর দাবি, এ বারে গুজরাতে রেকর্ড সংখ্যক ভোট পড়েছে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য। ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, জাতপাতের সমীকরণের রাজনীতি ধোপে টেকেনি।
বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল যদি সঠিক হয়, তা হলে মোদীর এই বিশ্লেষণ অমূলক নয়। কারণ, মোদীর বিরুদ্ধে পটেলদের ক্ষোভকে পুঁজি করে আসরে নেমেছিলেন কেশুভাই পটেল। সমীক্ষা বলছে, নিজের গড় সৌরাষ্ট্রেও বিশেষ দাগ কাটতে পারেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেশুভাই। |
|
|
|
|
|