|
দশ বছরে সবচেয়ে নীচে নামবে
বৃদ্ধির হার, পূর্বাভাস কেন্দ্রের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
|
এক দশকে সবচেয়ে নীচে। চলতি ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার এই তলানিতেই নামবে বলে সোমবার খাতায়-কলমে ইঙ্গিত দিল কেন্দ্র। তবে একই সঙ্গে এই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার দাওয়াইও দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের প্রধান আর্থিক উপদেষ্টা রঘুরাম রাজন।
সংসদে পেশ করা ষাণ্মাসিক আর্থিক সমীক্ষার পূর্বাভাসে বৃদ্ধির হার কাটছাঁট করে ৫.৭ থেকে ৫.৯ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০০২-’০৩ সালের নামমাত্র ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পর যা সর্বনিম্ন। এই আশঙ্কা অবশ্য গত তিন সপ্তাহ আগেই জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, পুণের এক ব্যাঙ্কিং সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের পর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকেও ৫.৫ শতাংশের গেরোয় আটকে যাবে বৃদ্ধির হার। সব মিলিয়ে, টানা তিন ত্রৈমাসিকে অব্যাহত থাকবে ছয় শতাংশের গণ্ডি পেরোনোর ব্যর্থতা। যার জেরে আর্থিক বছরের শেষেও বৃদ্ধি পড়ে থাকবে সেই ৫.৫ শতাংশের তলানিতে। প্রসঙ্গত, মার্চে পেশ করা আর্থিক সমীক্ষায় বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ৭.৬%। গত ২০১১-’১২ সালে বৃদ্দির হার ছিল ৬.৫ শতাংশ, যা গত ন’বছরে সবচেয়ে নীচে।
অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ভাগে (এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে) অবশ্য বৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ছোঁবে বলে ষাণ্মাসিক আর্থিক সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থনীতির চাকা এই মুহূর্তে দ্রুতগতিতে না-এগোলেও তার লক্ষণ যে স্পষ্ট হচ্ছে, সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজন। তিনি বলেন, “ঢিমে তালে চলার দিন শেষ। নিজের শক্তিতে ভর করেই বছরের দ্বিতীয় ভাগে আর্থিক বৃদ্ধি ৬ শতাংশ ছোঁবে।” পাশাপাশি, অর্থনীতির মোড় ফেরানোর লক্ষ্যে তিনি তিন দফা দাওয়াইও পেশ করেছেন: |
|
হাল শোধরাতে শলা-পরামর্শ। সোমবার নয়াদিল্লিতে অর্থমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা
রঘুরাম রাজন (বাঁ দিকে) এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা সি রঙ্গরাজন। |
• অর্থনীতির প্রতি লগ্নিকারীদের আস্থা বাড়ানোর উপযোগী বাজেট
• শিল্প প্রকল্পে দ্রুত ছাড়পত্র
• মূলধনী বাজারের সংস্কারে আরও পদক্ষেপ
এর মধ্যে মূলধনী বাজার সংস্কার প্রসঙ্গে রাজন বলেন, বন্ড এবং শেয়ার বাজার আরও চাঙ্গা করতে আরও বেশি সংক্কার দরুরি। শেয়ার বাজারের মাধ্যমে পরিকাঠামো প্রকল্পে অর্থের সংস্থান করা যায় কি না, খতিয়ে দেখতে হবে সেটাও। |
ষাণ্মাসিক সমীক্ষায় এক নজরে অর্থনীতি
• বৃদ্ধির হার ৫.৭ থেকে ৫.৯ শতাংশে
• বছরের দ্বিতীয় ভাগে বৃদ্ধি ৬%, প্রথম ভাগে ৫.৪%
• রাজকোষ ঘাটতি জাতীয় আয়ের ৫.৩%
• মার্চ শেষে মূল্যবৃদ্ধি ৬.৮ থেকে ৭%
• বিশ্ব অর্থনীতির হাল ফেরার সম্ভাবনা ক্ষীণ |
|
এ দিকে ষাণ্মাসিক আর্থিক সমীক্ষায় রাজকোষ ঘাটতি ৫.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার প্রসঙ্গে রাজনের মন্তব্য, “এই লক্ষ্যে এগোনো যথেষ্ট কঠিন।” সমীক্ষাতেও জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণ খাতে অর্থ সংগ্রহে অনিশ্চয়তা, ভর্তুকি বাবদ অতিরিক্ত ব্যয় এবং কর আদায়ে ঘাটতি রাজকোষ ঘাটতি কমিয়ে আনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। |
|
|