|
|
|
|
কালনায় সবলা মেলা |
বাজার খুঁজছে কুটিরশিল্প |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কালনা |
বর্ধমান জেলার সবলা মেলা শুরু হল কালনা শহরের অঘোরনাথ স্টেডিয়ামে। রবিবার সন্ধ্যায় মেলার উদ্বোধন করলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। প্রশাসনিক উদ্যোগে এই মেলা চলবে টানা ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেনক্ষুদ্র কুটির শিল্প, ভূমি ও বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক ওঙ্কারসিংহ মিনা, অতিরিক্ত জেলাশাসক অমিত দত্ত প্রমুখ।
মহকুমাপ্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলায় রয়েছে ৫৬টি স্টল। ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের বিভিন্ন পণ্য থাকছে ওই স্টলে। দর্শকদের বিনোদনের জন্য থাকছে ওড়িশি, ছৌয়ের মতো বিভিন্ন লোকনৃত্য, ঝুমুর, ভাওয়াইয়া গানের সঙ্গে থাকবে ফকিরি গানও। পাশাপাশি আবার সনাতন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও নৃত্যের আয়োজনও রয়েছে এখানে। |
|
পসরা সাজিয়ে বিক্রেতার অপেক্ষায়। ছবি: কেদারনাথ ভট্টাচার্য। |
এ দিন উদ্বোধনী বক্তৃতায় শান্তিবাবু বলেন, বাজারের অভাবে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর উদ্যোগে আয়োজিত এই কুটির শিল্পগুলি অনেক ক্ষেত্রেই মার খাচ্ছে। ক্রেতা, বিক্রেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবই এর কারণ বলে দাবি তাঁর। তিনি এ দিন আশ্বাস দেন, কীভাবে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগানো যায়, সরকার বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করছে। স্কুলের পোশাক তৈরির মতো কাজ ওই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও প্রশাসনিক স্তরে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তাঁর দাবি, পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয়ের জন্য জেলা স্তরে একটি করে উপদেষ্টা কমিটিও গড়া হচ্ছে, যারা গোষ্ঠীগুলির ব্যাপারে খুঁটিয়ে খোঁজ খবর নেবে। প্রয়োজনে জিনিসপত্র উৎপাদনের ব্যাপারেও পরামর্শ দেবে। এ দিন রাজ্যের ক্ষুদ্র কুটির শিল্প, ভূমি ও বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথও জোর দেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির নিজের পায়ের দাঁড়ানোর ব্যাপারে। তিনি বলেন, “গোটা জেলায় এরকম প্রায় ২১ হাজার গোষ্ঠী রয়েছে। গত এক বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী বেড়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে মাত্র ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়া হয়, যাতে তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারে। গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমে জেলায় স্যানিটেশন মাঠ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।” জেলাশাসকও জানান, জেলা প্রশাসন গোষ্ঠীগুলিকে পূর্ণ সাহায্য করবে।
|
ইউনিনর ব্যবসা গোটাচ্ছে রাজ্যে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে পরিষেবা বন্ধ করে দিচ্ছে ইউনিনর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাওয়ায় আগামী বছরে ওই দুই সার্কেলে তাদের হাতে স্পেকট্রাম না-থাকার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। ৫৬ লক্ষ গ্রাহকদের প্রতি সংস্থার বার্তা, এর পর তাঁরা ‘মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি’-র মাধ্যমে অন্য সংস্থার পরিষেবা নিন। ইউনিনরের পরিষেবা ব্যবহারের জন্য যে টাকা ভরা রয়েছে, তা ১৮ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে। কর্মীদের বদলি বা অন্য সংস্থায় চাকরি পেতেও সহযোগিতা করবে ইউনিনর। প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার আমলে স্পেকট্রাম নিয়ে অনিয়মের জেরে ফেব্রুয়ারিতে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। গত মাসে তার কিছুটা নিলাম করে কেন্দ্র। তাতে অংশ নিয়ে ছ’টি সার্কেলে জিতলেও কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে স্পেকট্রাম পায়নি ইউনিনর। সংস্থার এমডি সিগভে ব্রেক জানান, অন্যত্র লাইসেন্স বাতিল হওয়ায় ও ২০১৩-য় নতুন স্পেকট্রাম পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই এই সিদ্ধান্ত। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলে ১৮০০ মেগাহার্ৎজ স্পেকট্রাম নিলামের সম্ভাবনা প্রায় নেই। কলকাতার ক্ষেত্রে যে পুরনো ৯০০ মেগাহার্ৎজ নিলাম হওয়ার কথা, তা-ও আপাতত অন্য সংস্থার হাতে। |
|
|
|
|
|