চেন্নাইয়ে থাকার সময় শেষ কয়েক সপ্তাহ পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিল রেণু সরকার হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মঙ্গল সাহানি। ফোনের ওই কথা জেনে যান সিআইডি-র তদন্তকারীরা। ওই সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলকে।
চলতি বছরের গোড়ায় বোলপুরে নিজের বাড়িতে খুন হন শিক্ষিকা রেণু সরকার। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল মঙ্গলকে। জেল-হাজতে থাকার সময় ১৫ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। সেখান
থেকেই চম্পট দিয়েছিল সে।
মঙ্গলকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, হাসপাতাল থেকে পালানোর পরে সে বর্ধমান এলাকাতেই কয়েক দিন ছিল। তার পরে পরিচিত এক জনের মাধ্যমে বর্ধমান থেকে চেন্নাইয়ে গিয়ে একটি ঠিকাদার সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতে শুরু করে।
সোমবার ভবানী ভবনে মঙ্গলকে জেরার পরে তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার দিন মঙ্গল অসুস্থতার ভান করেছিল। ওই সময় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পাহারার দায়িত্বে থাকা দুই কারারক্ষীদের এক জন তার ভর্তির ব্যাপারে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন। অন্য জন ওই সময়ে অন্য এক রোগীর শুশ্রূষায় ব্যস্ত ছিলেন। সিআইডি-কর্তাদের কাছে মঙ্গল জানিয়েছে, ওই সুযোগেই পালিয়ে যায় সে। গোয়েন্দারা মঙ্গলের এই বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন। গোয়েন্দা-কর্তাদের দাবি, মঙ্গলের বক্তব্যের সঙ্গে ওই দুই কারারক্ষীদের বক্তব্যের অনেক ফারাক রয়েছে। কারারক্ষীদের ধোঁকা দিয়ে সে কী ভাবে পালিয়েছিল, তা জানতে অভিযুক্ত দুই কারারক্ষীর সঙ্গে তাকে মুখোমুখি জেরা করা হবে। সিআইডি-র স্পেশ্যাল আইজি বিনীত গোয়েল বলেন, “মঙ্গলকে কেউ পালাতে সাহায্য করেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” শনিবার গ্রেফতারের পরে ট্রানজিট রিমান্ডে সোমবার কলকাতায় আনা হয় মঙ্গলকে। সোমবার ভবানী ভবন থেকে তাকে বর্ধমান নিয়ে যায় তদন্তকারীদের একটি দল। আজ, মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান আদালতে হাজির করানোর কথা। বোলপুর আদালতও হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে তাকে। |