এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুবরাজপুরের আরও একটি স্কুল নির্বাচনে হারল তৃণমূল। রবিবার লক্ষ্মীনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনে ৫-১ ব্যবধানে জিতল সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই দুবরাজপুরের কুখুটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েও হারের মুখে পড়েছে তৃণমূল। ক্ষমতায় থাকা দু’টি স্কুলে পরপর এই হারে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কুখুটিয়ার স্কুলে হারের জন্য তৃণমূল ‘সিপিএমের সন্ত্রাস’ ও ভোটাদের প্রভাবিত করাকেই দায়ী করেছিল। লক্ষ্মীনারায়ণপুরে বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে ব্যাখ্যা অবশ্য আলাদা। দলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের বক্তব্য, “বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা কিছু ভোট কাটায় খুব কম ভোটের ব্যবধানেই আমাদের প্রার্থীরা হেরেছেন।”
তবে, তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, হারের প্রকৃত কারণ দলের দু’টি গোষ্ঠীর মতান্তর। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবেই ওই স্কুলে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা হেরেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন। এ দিনের জয়ে খুশি সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অরুণ মিত্রের দাবি, “যে ভোটারদের সমর্থন আমরা গত ভোটে হারিয়েছিলাম বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতে তাঁদের সমর্থন আমরা ফের পেতে শুরু করেছি। তাই ওই স্কুলের ভোটের ফল আমাদের পক্ষে গিয়েছে।”
অন্য দিকে, রাজনগরের ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে তিনটি আসন পেল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। তিনটি আসন পেয়েছে সিপিএমও। গত নির্বাচনেও একই ফল হয়েছিল জোটের। তবে সেবার কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে জোটে ছিল বিজেপিও। এ বার বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা অবশ্য আলাদা লড়েছিলেন। স্কুলের দখলে থাকা কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের বিরুদ্ধে লিফলেট ছাপিয়ে প্রচার চালিয়ে ছিল বিজেপি। সোচ্চার ছিল সিপিএমও। এ দিন ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস জোটের কথা স্বীকার করলেও তৃণমূল নেতৃত্ব তা মানেনি। এখন বোর্ড কে গড়ে সেটাই দেখার।
এ দিকে, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের গ্রামের বাড়ির স্কুলে হেরেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। তৃণমূলের আর এক মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরীর বিধানসভা এলাকার মুরারইয়ের কলহপুর হাজি কোরবান হোসেন হাইমাদ্রাসা স্কুলের পরিচালন কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনেও তৃতীয় স্থান পেয়েছে তৃণমূল। রবিবার ওই নির্বাচনে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা ছ’টি আসনে বিজয়ী হন। তৃণমূল ও বামপন্থী প্রগতিশীল মোর্চার প্রার্থীরা পৃথক ভাবে ছ’টি আসনে আলাদা আলাদা প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বামেরা দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। |