ফিল্ম সিটির জমি নিয়ে গৌতমের তোপ মমতাকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাকে জমি দিতে না-পারলেও রাজ্য সরকার একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স কোম্পানিকে (এনবিএফসি বা চলতি কথায় চিটফান্ড) ফিল্ম সিটি গড়ার জন্য এক লপ্তে ২৭০০ একর জমি দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। এই কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে গৌতমবাবু বলেন, “সেবি রাজ্যের বেশ কিছু চিটফান্ডের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এদের কার্যকলাপ নিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপই করছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্যের বেশ কিছু সংস্থা সাধারণ মানুষের টাকা নিয়ে নয়ছয় করছে। অথচ, মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও কিছু না জানার ভান করছেন।
প্রাক্তন আবাসনমন্ত্রীর এই অভিযোগ উড়িয়ে বর্তমান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, “ওই ফিল্ম সিটির জমি কেনা বেচা হয়েছে বাম আমলে। কাজও শুরু হয়েছে তখনই। গৌতমবাবুর সঠিক তথ্য জেনে তার পর কথা বলা উচিত।” তাঁর আরও দাবি, “তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের সঙ্গে চিটফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্য এই ধরনের কোনও সংস্থাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এখন যে সব সংস্থা চলছে, সেগুলি বাম আমলেই লাইসেন্স পেয়েছে।”
এনবিএফসি সংস্থাগুলির ব্যাপারে আলোচনার দাবিকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবার বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বামেদের অভিযোগ, রাজ্য সরকার এই ধরনের কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নাগেরবাজারের পার্টি অফিসে এক সাংবাদিক বৈঠকে গৌতমবাবু বলেন, “আমরা উইপ্রো, ইনফোসিসকে ৫০ একর জমি দিয়েছিলাম। আর এই সরকার একটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থাকে ফিল্ম সিটি করার জন্য এক লপ্তে ২৭০০ একর জমি দিল। উইপ্রো বা ইনফোসিসের মতো সংস্থারা এখন জমি পাচ্ছে না।” পরে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য শুনে তাঁর পাল্টা মন্তব্য, “ওই ফিল্মসিটি তৈরির ব্যপারে রাজ্য সরকারই সাহায্য করছে।”
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কে ডি সিংহের আর্থিক সংস্থার বিরুদ্ধে ‘সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস’ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও এ দিন দাবি করেন গৌতমবাবু। এ সম্পর্কে ফিরহাদের বক্তব্য, “জনপ্রতিনিধি কোথায় কী করছেন, তা আমার জানা নেই। সাধারণ মানুষের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, সরকার তা দেখবে।”
কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি ও রাজ্য সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে ২২ ডিসেম্বর উল্টোডাঙা ও বারাসত থেকে দমদম সেন্ট্রাল জেল এবং বরাহনগর ও কাঁচরাপাড়া থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত পদযাত্রা হবে বলে গৌতমবাবু জানান। |