হাইকোর্ট রাজনীতির মঞ্চ নয়, বললেন বিচারপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রেশনের ডিলারশিপ বাতিল নিয়ে একটি মামলায় গত ৩৪ বছরের বাম জমানায় নানান অনিয়মের কথা তুলেছিলেন সরকারি আইনজীবী। সঙ্গে সঙ্গেই হাইকোর্ট রাজনীতির মঞ্চ নয় বলে তাঁকে সতর্ক করে দিলেন বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস।
বিচারপতি খাদ্য দফতরের জলপাইগুড়ির সাব-কন্ট্রোলারকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জানাতে বলেছিলেন, কেন তিনি কোনও কারণ না-দেখিয়ে এক রেশন ডিলারকে বাদ দিয়েছেন। এ দিন ওই খাদ্যকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন। তবে হাইকোর্টের কাছে তিনি ওই রেশন ডিলারকে বাদ দেওয়ার কোনও সঙ্গত কারণ দেখাতে পারেননি। তাঁর দফতরের কাজকর্ম নিয়ে তদন্ত চালিয়ে হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করার জন্য সিআইডি-কে নির্দেশ দেন এ জন্য বিচারপতি। সেই সঙ্গেই খাদ্যসচিবকে তাঁর নির্দেশ, ওই খাদ্যকর্তা কেন রেশন ডিলার রঞ্জন মজুমদারকে বাদ দিয়ে অন্য ডিলারকে দায়িত্ব দিলেন, তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই মামলা চলাকালীন আবেদনকারীর আইনজীবী ইদ্রিশ আলি বলেন, আবেদনকারী রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। বরং তিনি যথেষ্ট সৎ বলেই এলাকায় পরিচিত। আর সরকারি আইনজীবী বলেন, রাজ্য সরকার এই ডিলারশিপ পরিবর্তন করে কোনও ভুল করেনি। গত ৩৪ বছরে অনেক অনিয়ম হয়েছে। দেড় বছরে সেই সব অনিয়ম বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। সরকারি আইনজীবীর এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি বিশ্বাস। তিনি সরকারি আইনজীবীকে বলেন, “আদালত রাজনীতির মঞ্চ নয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের কথা বলবেন না। আদালতে কোনও আইনজীবীরই রাজনৈতিক কথা বলা উচিত নয়।” সরকারি আইনজীবী তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
অন্য একটি মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার ‘কন্ট্রোলার অফ ফুড’-কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নিত্যগোপাল রায় নামে এক ব্যক্তির রেশন ডিলারশিপ খারিজ করে দেন ব্যারাকপুরের মহকুমা খাদ্য অধিকর্তা। নিত্যবাবু জেলার খাদ্য কন্ট্রোলারকে তাঁর বক্তব্য জানাতে চান। নিয়ম অনুযায়ী জেলা খাদ্যকর্তা আবেদন শুনতে বাধ্য। কিন্তু তিনি তা না-শোনায় নিত্যবাবু মামলা করেন। |