নিলামের কথা বলে কটাক্ষের মুখে মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিলাম করলেও কেউ রাজ্য সরকারকে কিনবে না বলে ফের মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার এক টাকাও দেয় না। যে টাকা দেয়, তাতে সুদ দিতেই সব খরচ হয়। তা সত্ত্বেও সাড়ে তিন বছর কাটিয়ে দেবে এই সরকার। রাজ্যকে নিলামে তোলা সংক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিরোধী শিবির। কলকাতার সায়েন্স সিটিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিলামের কথা বলেন। তিনি বলেন, “আগে জানলে আসতামই না!” এ দিনও তিনি বলেন, “নিলাম করলেও কেউ এই সরকার কিনবে না!” মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বর্তমান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ১০০% নম্বর পাবেন রাজ্যকে দেড় বছরের মধ্যে এই দেউলিয়া অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। মাথাপিছু ঋণ, রাজ্যের মোট গড় উৎপাদনের হিসাব ধরলে যা দাঁড়ায়, পশ্চিমবঙ্গ এই দিকে এক নম্বরে চলে এসেছে! আয় নেই, ব্যয় বাড়ছে। অর্থনৈতিক নৈরাজ্য চলছে!” কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার মতে, নিলামে তুললেও রাজ্যকে কেউ কিনবে না এবং এমন ভয়ঙ্কর অবস্থা জানলে ক্ষমতায় তিনি আসতেন না মুখ্যমন্ত্রীর এই দুই মন্তব্যই রাজ্যবাসীকে দুঃখ দিয়েছে। মানসবাবুর কথায়, “এই কথা বললে বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে অসম্মান করা হয়। মানুষ এই সরকারকে ক্ষমতায় আনার পরে মুখ্যমন্ত্রী যদি এ কথা বলেন, কেউ শিল্প বা বিনিয়োগ করতে আসবে কেন?” মানসবাবুর পরামর্শ, “ঠান্ডা মাথায় সরকার চালাতে সকলের সহযোগিতা নিন!” |
চাষিরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বছরও কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করলেন প্রাদেশিক কৃষক সভার সম্পাদক মদন ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, “ফসলের দাম না পেয়ে গত বার ৭৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। এ বছর এখনও পর্যন্ত দু’জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “যদি রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তা হলে চাষিদের অভাবি বিক্রি বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে আত্মহত্যা।” বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে আবেদন, ধানের সহায়ক মূল্য ১২৫০ টাকা করতে হবে। না হলে চাষিদের উৎপাদন খরচ উঠবে না। এ সবের বিরুদ্ধে বাম কৃষক সংগঠন গুলি আন্দোলনে নামছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বছরে ১০ লক্ষ কিষাণ কার্ড বণ্টন করা হবে। কিন্তু এক লক্ষ কার্ডও বণ্টন হয়নি বলে অভিযোগ।
|
নকল অধিবেশনে রবিশঙ্কর-স্মরণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রবিশঙ্করের মৃত্যুতে নকল অধিবেশনে পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র। |
আসল বিধানসভার আগেই নকলে! প্রয়াত শিল্পী রবিশঙ্করের স্মরণে শোকপ্রস্তাব নেওয়া হল বিধানসভা চত্বরে বিরোধী বামেদের পরিচালিত নকল বিধানসভায়। শ্রদ্ধা জানাতে প্ল্যাকার্ডও লিখে রাখা হয়। আসল বিধানসভার অধিবেশন বৃহস্পতিবারই শেষ হয়ে গেল। সচরাচর কোনও অধিবেশন শুরুর দিন শোকপ্রস্তাব হয়ে মুলতবি হয়ে যায়। পরবর্তী অধিবেশন শুরুর দিন রবিশঙ্করের নাম শোকপ্রস্তাবে আসবে বলে পরিষদীয় সূত্রের খবর।
|
এ বার লাইন না-দিয়েই দলিল |
জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রি করতে আর বিভিন্ন জায়গায় লাইনে দাঁড়াতে হবে না। দলিল কী অবস্থায় আছে, এক জায়গায় বসে ডিসপ্লে বোর্ডেই তা দেখে নেওয়া যাবে। পদ্ধতিগত কাজ শেষ হলে রেজিস্ট্রি অফিস থেকেই মোবাইলে বার্তা আসবে। তার পরে টাকা জমা দিলেই মিলবে দলিল। এটাকে বলা হচ্ছে ‘কিউ ম্যানেজমেন্ট’ পরিষেবা। বৃহস্পতিবার আলিপুর রেজিস্ট্রি অফিসে (এক নম্বর) এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি জানান, যে-সব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রচুর দলিল জমা পড়ে, সেখানেই এই পরিষেবা চালু করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রি করতে কম সময় লাগবে। সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
|
বিনা পারিশ্রমিকে পরামর্শ উন্নয়নে |
রাজ্যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সামিল হতে চান অবসরপ্রাপ্ত পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ। এবং কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই। এই উদ্দেশ্যে ‘রিটায়ার্ড অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ব্যাচ-ওয়াইজ ইঞ্জিনিয়ার্স পিডব্লিউডি’ নামে একটি সংগঠন গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ত বিভাগের যে-সব অবসরপ্রাপ্ত সিভিল ও আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ার দ্বিতীয় হুগলি সেতু, রাজ্যের বিভিন্ন উড়ালপুল, অন্যান্য পরিকাঠামো তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁরা এই উদ্যোগের শরিক। তাঁদের বক্তব্য, সরকার অনুরোধ করলে রাস্তা সম্প্রসারণ, নগরোন্নয়ন-সহ নানান পরিকাঠামো নির্মাণ, বিশেষত বিদেশি ব্যাঙ্কের ঋণে নির্মীয়মাণ বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁরা পরামর্শ দিতে পারেন। বিনা পারিশ্রমিকে। পূর্তকর্মীদের পেনশন, চিকিৎসা বিষয়েও সাহায্য করতে চায় ওই সংগঠন।
|
হাজিরা নিয়ে নতুন নির্দেশ |
সওয়া ১০টার মধ্যে আসা এবং সওয়া ৫টার পরে যাওয়া। কর্মীদের হাজিরা নিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশেই প্রমাণিত, মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মীদের কর্মসংস্কৃতির প্রশংসা করলেও এক শ্রেণির কর্মী হাজিরার ক্ষেত্রে ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়েই চলছেন। |