ভাল ফুটবলারের খোঁজে গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চলছে প্রচার। ফলে ভোর হতেই জুতো-মোজা পরে একছুটে থানার মাঠে। যোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য লাইনে দাঁড়াচ্ছেন এলাকার ছেলেমেয়েরা। সবার একটাই আশা, ভাল খেলে যদি একটা চাকরি জুটিয়ে ফেলা যায়। প্রশিক্ষণ নিতে যদি বিদেশে যাওয়ার শিকে ছেঁড়ে। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েদের ফুটবলে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকারের তরফে কাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘সুন্দরবন কাপ ২০১২’। আর সে জন্যই সাড়া পড়ে গিয়েছে সুন্দরবন এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে ভাল খেলার সুযোগ এবং বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যেতে পারে সেই ব্যবস্থার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। আগামীতে ভাল খেলোয়াড়েরা যাতে পুলিশে যোগ দিতে পারে সে জন্য সরকারি ভাবে প্রতিটি খেলোয়াড়ের জীবনপঞ্জি নথিভুক্ত করা শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য, সুন্দরবনের মানুষের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনের সংযোগ এবং সুন্দরবনের ছেলেমেয়েদের ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো।”
প্রতিযোগিতায় বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হেমনগর, হাসনাবাদ, হাড়োয়া এবং মিনাখাঁর ৪২টি দল যোগ দিচ্ছে। এর মধ্যে মহিলাদের দল রয়েছে দু’টি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সন্দেশখালির ঠেকনামারি হাইস্কুল মাঠে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। ওই দিন উপস্থিত থাকার কথা জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন, বসিরহাটের মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল, বসিরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আনন্দ সরকার-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনায় হাসনাবাদের ৮টি, হিঙ্গলগঞ্জের ৬টি, হেমনগরের ২টি, সন্দেশখালির ১০টি, মিনাখাঁর ৬টি এবং হাড়োয়ার ৮টি দল যোগ দিচ্ছে। প্রতি থানা এলাকা থেকে একটি করে দল সেমিফাইনালে উঠবে। তাদের মধ্যে একটি দল ফাইনালে উঠবে। একই ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া থানা এলাকার দলগুলি এই প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে। কাকদ্বীপের ১৬টি, পাথরপ্রতিমার ১৬টি, সাগরের ৬৪টি, নামখানার ১৬টি, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার ৪টি, রায়দিঘির ১৬টি, মথুরাপুরের ১৬টি, বাসন্তী থেকে ২৪টি, ক্যানিং থেকে ২২টি (এর মধ্যে মহিলাদের দল দু’টি), জীবনতলার ১৮টি, গোসাবার ৮টি (মহিলাদের দু’টি দল), গোসাবা কোস্টাল থানার ৮টি (মহিলাদের দু’টি) দল যোগ দিচ্ছে। দুই ২৪ পরগনার দু’টি দলের মধ্যে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
জানুয়ারি মাসে ওই খেলায় উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। |