টুকরো খবর
সাহসিকতার পুরস্কার পেলেন নুলিয়া রতন
সৈকতে রতন দাস। —নিজস্ব চিত্র।
দিঘার উত্তাল সমুদ্রে এক পর্যটককে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন নুলিয়া রতন দাস। তারই স্বীকৃতি হিসাবে রাজ্য সরকার দিঘা থানার অলঙ্কারপুর গ্রামের এই যুবককে দিল অনন্য সাহসিকতার পুরস্কার। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় রাজ্য পুলিশের এক অনুষ্ঠানে ‘সাহসী’ পাঁচ জনের অন্যতম রতনকে পদক, শংসাপত্র ও নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। বৃহস্পতিবার দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও রতনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দিঘায়। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম যুগ্ম সচিব বিপ্রদাস চক্রবর্তী জানান, দিঘায় যে ৬ জন নুলিয়া রয়েছেন, রতন তাঁদেরই অন্যতম। বিধবা মা, স্ত্রী আর দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কুঁড়েঘরের সংসারে একমাত্র রোজগেরে বছর বত্রিশের রতন। তাঁর কথায়, “ছোটবেলা থেকেই সমুদ্র আমাকে টানত। সমুদ্রের চরেই দিনের বেশি সময় কাটাতাম। ২০০৯ সালে হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন যখন নুলিয়ার চাকরির সুযোগ করে দেয়, খুবই খুশি হয়েছিলাম।” তবে, মজুরি মাত্র ২০০০ টাকা। এতে সংসার চলে না। তাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে ভবিষ্যতে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, তাতে মন ভেজেনি রতনের। বরং রাজ্য সরকার নুলিয়াদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যথাযথ পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করলে খুশি হন তিনি। তাঁর মতে, এতে শুধু নুলিয়াদেরই উপকার হবে না, দিঘার সমুদ্র-স্নানে দুর্ঘটনাও অনেকটাই এড়ানো যাবে।

বন্দর-সমস্যা, স্মারকলিপি
জহর টাওয়ারের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থান। —নিজস্ব চিত্র।
বন্দর-সমস্যা নিয়ে হলদিয়ায় বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি দিল সিটু প্রভাবিত কলকাতা পোর্ট শোর মজদুর শ্রমিক ইউনিয়ন। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন বেতনক্রম চালু, স্থায়ীপদে নিয়োগ, শূন্যপদ পূরণ-সহ ৯ দফা দাবিতে এ দিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি বন্দরে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল বাম প্রভাবিত ‘ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’। কেন্দ্রীয় এই সংগঠন অনুমোদিত কলকাতা পোর্ট শোর মজদুর শ্রমিক ইউনিয়নের সমর্থকেরা এ দিন হলদিয়া টাউনশিপের ক্লাস্টার ফাইভ থেকে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন ‘জওহর টাওয়ার’ পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন। হলদিয়া বন্দর থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য খালাসকারী সংস্থা ‘এবিজি’ চলে যাওয়ায় যে সঙ্কটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়েও সরব হয়েছে সিটুর এই মজদুর ইউনিয়ন। বন্দরের ২ ও ৮ নম্বর বার্থে অবিলম্বে কাজ চালু, স্থায়ী শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে অন্য বার্থগুলিতেও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পণ্য ওঠানো-নামানো, নাব্যতার সমস্যা সমাধান-সহ আরও ৪ দফা দাবি জানানো হয়েছে। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়নের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি অবিনাশ দাস, যুগ্ম সম্পাদক বিমান মিস্ত্রী, সুকুমার দাস প্রমুখ। অবিনাশবাবু বলেন, “বন্দরে এক শ্রেণির আধিকারিদের সঙ্গে ঠিকাদারের আঁতাতে এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। সমস্যার সমাধান করে দ্রুত বন্দরকে পুরনো ছন্দে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।” হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার বাসব রায়চৌধুরীকে এই স্মারকলিপিটি জমা দেন তাঁরা। বাসববাবু বলেন, “স্মারকলিপি পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য বলা হবে।”

পূর্বে শেষ জেলা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
প্রাথমিকে ক্রীড়ার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। কোলাঘাটে পার্থপ্রতিম দাসের ছবি।
জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলির পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষ হল বৃহস্পতিবার। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উপনগরীর ফুটবল ময়দানে বুধবার এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চক্র স্তরে সফল ক্রীড়া প্রতিযোগীদের নিয়ে প্রতিযোগিতার ৩০টি বিভাগে যোগ দেয় ১৩৫৬ জন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগে সফল ১৩০ জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সচিব সুবোধ চট্টোপাধ্যায়। জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি গোপাল সাহু জানান, “জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিভাগে প্রথম স্থানাধিকারী ৩০ জন প্রতিযোগী যোগ দেবে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতা হবে।”

ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মৃত্যু
গ্যাস ট্যাঙ্কারের ধাক্কায় মারা গেলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার ভোরে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সুশান্ত দাস (৩৮)। বাড়ি নন্দীগ্রামের কানঙ্গোচকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে চুনঘর বাসস্টপের কাছে থাকতেন সুশান্তবাবু। এ দিন ভোর পাঁচটা নাগাদ এলোকেশি মোড়ের একটি বেকারি থেকে পাউরুটির গাড়ি নিয়ে জাতীয় সড়ক ধরে হলদিয়ার দিকে আসছিলেন তিনি। তখনই পিছন থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি গ্যাস ট্যাঙ্কার ধাক্কা মারে তাঁকে। পড়ে গিয়ে ট্যাঙ্কারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে ভবানীপুর থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ময়না-তদন্তে পাঠায়। দুপুরে মৃতের পরিবারের তরফে গাড়িটির নম্বর-সহ চালকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়। তবে পুলিশ জানায়, ভোরে ঘটনাটি ঘটায় চালক ট্যাঙ্কারটি নিয়ে পালিয়ে যাতে পেরেছে।

ধৃত দুই মাঝির জেল হেফাজত
চড়ুইভাতি করতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত দুই মাঝিকে ১৪ দিনের জেল হাজতে পাঠাল আদালত। বৃহস্পতিবার ধৃত বিশ্বজিৎ ভুঁইয়া ও বিমল ভুঁইয়াকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম বিশ্বনাথ প্রামানিক এই নির্দেশ দেন। বুধবার রাতে এই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল হলদিয়া থানার পুলিশ। ধৃত দু’জনেই পেশায় মাঝি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার রায়রাঞাচক থেকে ৯ জনকে নয়াচরের দ্বীপে পিকনিকে নিয়ে যায় এই দুই মাঝি। পরে মাঝি-সহ ১০ জন ফিরে এলেও মলয় সিংহ (২৭) নামে এক যুবক ফেরেনি। সোমবার মলয়ের পরিবারের তরফে থানায় খুনের চেষ্টায় অপহরনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে নয়াচরের বাবলাতলার বড় খালে মলয়ের মৃতদেহ ভেসে ওঠে। সে দিন রাতেই এই দুই মাঝিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু
ঘটনার পরে পথ অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
মিনি ট্রাকের ধাক্কায় বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ধনঞ্জয় জানা (৫২)। তাঁর বাড়ি দাসপুরের বেলাঘাটায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ধনঞ্জয়বাবু সাইকেলে করে ঘাটাল-পাঁশকুড়া সড়ক ধরে দাসপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে ঘাটালগামী একটি মিনি ট্রাক ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার পরই এলাকার মানুষ প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই সড়ক অবরোধ করে। পরে দাসপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। চালক পলাতক। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.