রণক্ষেত্র চন্দ্রকোনা
স্কুলে মনোনয়ন জমাকে ঘিরে বচসা, বোমাবাজি
স্কুল পরিচালন কমিটির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল চন্দ্রকোনার ধান্যগাছি এলাকা।
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ দিন সকাল থেকেই এলাকায় একটা উত্তেজনা ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, বেলা ১২টায় এক পক্ষ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে স্কুলে ঢোকে। সেই সময়ই আরও এক পক্ষের দু’জন প্রার্থী স্কুলে ঢোকেন। তারপরই স্কুলের বাইরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল বেধে যায়। চলে বোমাবাজি। দোকানে ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষে দুই গোষ্ঠীর ১৪ জন অল্প-বিস্তর জখম হয়েছেন। এদের মধ্যে চার জনের আঘাত গুরুতর। আহতদের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁদের স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। এ দিনই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মৌখিক পরীক্ষা ছিল। ঘটনার জেরে পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। তবে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুই গোষ্ঠীর প্রার্থীরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবীপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, “আগামী ২৩ ডিসেম্বর স্কুলে অভিভাবক প্রতিনিধির নিবার্চন। এ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরের বাইরে একটা গণ্ডগোল হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিল। শেষ পর্যন্ত ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।”
ধান্যগাছি স্কুল চত্বরে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের অধীন বান্দিপুর-২ পঞ্চায়েতের ধান্যগাছি এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ এবং সলিল কারকের অনুগামীদের মধ্যে গণ্ডগোল। স্কুল ভোট নিয়ে দুই গোষ্ঠীর সমর্থকেরা ক’দিন ধরেই মিছিল-মিটিং করছেন। মারপিটের ঘটনাও ঘটেছে। প্রথমে হীরালাল গোষ্ঠীর লোকজন মনোনয়নপত্র জমা দিতে স্কুলে ঢোকেন। তারপরেই অন্য গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরাও ঢুকতে গেলে গণ্ডগোল বাধে। স্কুলের বাইরে দলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরে তা থেকে হাতাহাতি। অভিযোগ, দুই পক্ষই ধারালো অস্ত্র, লাঠি, লোহার রড নিয়ে প্রকশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বোমাবাজিও হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে এলাকার দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। পরে চন্দ্রকোনা থানার ওসি আশিস জৈনের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসেছে। সিপিএমের চন্দ্রকোনা-২ জোনাল কমিটির সম্পাদক গুরুপদ দত্তের এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া, “কী পরিবর্তন হয়েছেতা ভাল ভাবেই এলাকার মানুষ বুঝতে পারছেন।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিতাভ কুশারি বলেন, “আমাদের দলের স্থানীয় নেতাদের ভুল বোঝাবুঝির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। দলীয় ভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই এর বেশি কিছু বলব না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.