মোহনবাগান যে দাবি নিয়ে ফেডারেশনের দ্বারস্থ, তার সঙ্গে একমত নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সায়েন্স সিটিতে পুলিশের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডার্বি ম্যাচে এক লক্ষ লোকের পিছনে কি এক লক্ষ পুলিশ দিতে হবে? মাঠের ঝামেলা মাঠেই মিটিয়ে নেওয়া যেত। ঝামেলার পরিস্থিতি তৈরি হতেই পারে। তা বলে মাঠ ছেড়ে চলে যাব!”
পুলিশকে ক্লিনচিট দিয়ে মমতার এই মন্তব্যের পর স্বভাবতই অস্বস্তিতে মোহনবাগান। ক্লাবের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। কেন মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করলেন সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সৃঞ্জয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন তা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু সে দিন রহিম নবি মাঠে গুরুতর আহত হওয়ার পরে নিরাপত্তার কারণে দলের ফুটবলাররা মাঠেই নামতে চাইছিল না। আমরা কী করব বলতে পারেন?”
এরই মধ্যে আবার ক্লাবের ইতিহাসে নজিরবিহীন শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে মোহনবাগান। |
বুধবার তারা নগর দেওয়ানি আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে এসেছিল, আই লিগের কোনও ম্যাচ যেন বন্ধ না করা হয়। ফেডারেশন তার আগেই অবশ্য ১৫ ডিসেম্বরের মোহনবাগান-পৈলান ম্যাচ স্থগিত করে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার তারা আবার চিঠি দিয়ে নিজেরাই ফেডারেশনকে জানাল, ওই ম্যাচ না হলে তাদের কোনও আপত্তি নেই। ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “আদালতের নির্দেশের পর ওই চিঠি না দিলে ফেডারেশন অসুবিধায় পড়ত। সেই আশঙ্কা থেকেই চিঠি দিয়েছি। ফেডারেশন কর্তাদের উপর আমাদের আস্থা আছে।”
মোহনবাগান আদালত থেকে নির্দেশ নিয়ে এলেও এআইএফএফ কর্তারা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এ দিনই আবার ডার্বি ম্যাচে দর্শকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে আহত রহিম নবি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁর। সুস্থ হয়ে মাঠে নামতে আরও ছয় সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে। আহত হওয়ার পরে ফুটবল ছাড়ার কথা বললেও এ দিন বাড়ি ফিরে নবি বলেন, “দ্রুত মাঠে ফিরতে চাই। তবে এই ঘটনার জেরে ডার্বি ম্যাচ কলকাতা থেকে সরলে তা দুঃখজনক অধ্যায় হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”
নবি এ দিন বাড়ি ফিরলেন। করিম বেঞ্চারিফা বাড়ি যাচ্ছেন, আজ শুক্রবার। ভিসা সমস্যার কারণে মরক্কো উড়ে যেতে হচ্ছে মোহনবাগান কোচকে। ২২ ডিসেম্বর শহরে ফিরবেন তিনি। |