|
|
|
|
বিধানসভায় তাণ্ডব নিয়ে সি পি এম সক্রিয় দিল্লিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হাতাহাতির ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে ময়দানে নামছে সিপিএম। এক দিকে ওই ঘটনাকে ‘সংসদীয় রাজনীতির অবক্ষয়’ তকমা দিয়ে আগামিকাল সংসদে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বামেরা। অন্য দিকে, দলের বিধায়ক দেবলীনা হেমব্রম নিগ্রহের ঘটনাকে ‘আদিবাসী মহিলার উপর আক্রমণ’ হিসেবে তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে চাইছেন তাঁরা।
প্রকাশ কারাট-সীতারাম ইয়েচুরি দু’জনেই এখন একটা বিষয়ে একমত। তা হল, পশ্চিমবঙ্গে দলের শক্তি বাড়াতে পারলে তবেই বামেরা জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকতে পারবে। তাই মমতা-সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র পেলেই তাকে হাতিয়ার করতে চাইছেন তাঁরা। গত কালই বিধানসভায় বাম বিধায়কদের উপর তৃণমূলের হামলার সমালোচনা করে এ কে গোপালন ভবন থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছিল। আগামিকাল চার বাম দলের সাংসদদের ধর্নায় বসার কথা জানিয়ে ইয়েচুরির কটাক্ষ, “আত্মরক্ষার জন্য যে ভাবে কংগ্রেস বিধায়কদের কাল হেলমেট পরে বিধানসভায় যেতে হয়েছিল, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।”
তৃণমূল বিধায়কদের পার্লামেন্ট সেক্রেটারির পদ দেওয়া নিয়েও আজ আপত্তি তুলেছেন ইয়েচুরি। একই সঙ্গে সংসদে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় পি চিদম্বরমের সামনে রাজ্যে চিট ফান্ডের বাড়বাড়ন্তের বিষয়েও প্রশ্ন তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বাম নেতাদের। কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিএম। তা হলে এ ক্ষেত্রে রাজ্যের বিষয় নিয়ে সংসদে প্রতিবাদ জানানো কেন? ইয়েচুরির জবাব, “আমরা বরাবরই রাজ্যের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করি। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গরিমার প্রশ্ন। দু’দিন আগের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ঘটনাই আমাদের প্রতিবাদের কেন্দ্রে থাকছে।” |
|
|
|
|
|