|
|
|
|
রাজ্যসভায় কোটা বিল, সপা-র কক্ষত্যাগ |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
পদোন্নতি সংরক্ষণ বিল (কোটা বিল) নিয়ে আজ রাজ্যসভায় সমাজবাদী পার্টির চরম বিরোধিতার মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। যার জেরে দফায় দফায় রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতুবি করতে বাধ্য হন ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সপা-র দুই সাংসদকে সভাকক্ষ ত্যাগ করার নির্দেশ দেন। তুমুল হইচইয়ের মধ্যে রাজ্যসভায় সপা-র নয় সাংসদই ওয়াকআউট করেন। পরে সভায় বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
এ দিন রাজ্যসভায় সংবিধানের ১১৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলটি পেশ করেন কর্মিবর্গ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। গত চার দিনে এই নিয়ে তিন বার তিনি এই বিলটি পেশ করলেন। বিলটিতে দলিত, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত সরকারি কমর্চারীদের পদোন্নতির জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি বিলটি সমর্থন করলেও সপা এর তীব্র বিরোধী। বিলটির বিরোধিতা করে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ১৮ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ধর্মঘট ঘোষণা করেছেন।
এ দিনই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করে পদোন্নতি সংরক্ষণ বিল নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানান সপা সুপ্রিমো মুলায়ম সিংহ যাদব এবং অখিলেশ যাদব। তবে ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। বিলটি নিয়ে এ দিন মায়াবতীর সঙ্গেও আলোচনা করে কেন্দ্র। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেসের সঙ্গে আগাম সমঝোতা করেই সপা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছে। কারণ এতে দু’পক্ষেরই লাভ হয়েছে। এক দিকে এই বিলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সপা, অন্য দিকে মুলায়মের দল সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলে বিলটি নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু করে মায়াবতীকেও পাশে রাখতে চাইল কংগ্রেস। পদোন্নতি সংরক্ষণ বিলটিকে শর্তসাপেক্ষে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি এবং বামেরা। দু’পক্ষই জানায়, বিলটিতে কিছু পরিবর্তন করলে তাঁরা সমর্থন করতে রাজি। বিজেপির অরুণ জেটলি, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, পদোন্নতি সংরক্ষণ করলে অন্যদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। |
|
|
|
|
|