|
|
|
|
বিনোদন: দাবি অমিতাভের |
অস্ত্রোপচার সফল হবে কি,
দ্বিধায় ছিলেন রবিশঙ্কর
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
|
|
হৃদযন্ত্রে ভাল্ভ পাল্টানোর কয়েক দিন আগেই রবিশঙ্করের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছিল। তখনই অমিতাভের মনে হয়েছিল, ওই অস্ত্রোপচারে খুব একটা ভরসা ছিল না ৯২ বছরের প্রবীণ সেতারবাদকের।
সেই কথোপকথন নিয়ে নিজের ব্লগে লিখেছিলেন অমিতাভ। প্রবীণ সুরস্রষ্টার মৃত্যুর পরে আজ তিনি টুইটারে লিখেছেন: “অস্ত্রোপচারের দিন কয়েক আগেই আমায় ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছে ছিল। এখন উনি আর বেঁচে নেই! অল্প সময় কথা হয়েছিল। তার মধ্যেই বললেন অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু সেটা সফল হবে কি না, তা নিয়ে খুব আত্মবিশ্বসী ছিলেন না!” এর পরেই অমিতাভ লিখেছেন, “এমন বহু মানুষকে চিনি যাঁরা আগে থেকেই বুঝতে পারেন, কিছু একটা খারাপ ঘটতে চলেছে।” কথা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই অদ্ভুত ভাবে রবিশঙ্করের মৃত্যুসংবাদ শুনতে হল, জানিয়েছেন অমিতাভ।
রবিশঙ্কর তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন শুনে প্রথমে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা। যদিও শঙ্কর এবং বচ্চন পরিবারের আলাপ-পরিচয় দীর্ঘ দিনের। অমিতাভের কথায়, “ফোনে প্রথম বার রবিশঙ্করের সঙ্গে কথা হচ্ছে। আমরা পরস্পরকে চিনতাম। পরিবারেও জানাশুনো বহু দিন ধরেই। কয়েক বার দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। তার বেশি কিছু নয়। উনি এখন কেন আমার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন? অবাক লাগছিল।”
ব্লগে এর পর অমিতাভ লিখেছেন, “উনি যখন কথা বললেন, মনে হল খুব কাছের কোনও মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। বললেন, আমাকে টিভিতে প্রায়ই দেখতে পান। আমার ফিল্ম, আমার ভক্ত নিয়েও কথা বললেন। তার পর জানালেন অস্ত্রোপচারের কথা, ‘আপ সে বাত করকে বহুত আচ্ছা লাগ রহা হ্যায়...পতা নহি আপ সে ফির কব বাত হো সকে... থার্সডে কো মেরি সার্জারি হ্যায়... দেখিয়ে কেয়া হোতা হ্যায়’!” যা শুনে অমিতাভের মনে হয়েছিল অস্ত্রোপচারে তেমন ভরসা নেই রবিশঙ্করের।
শিল্পীর প্রয়াণে অমিতাভের প্রতিক্রিয়া: “পণ্ডিত রবিশঙ্কর যখন বাজাতেন, সেতার তখন কথা বলত। এখন শুধু তাঁর অগুনতি রেকর্ডিং শুনতে হবে। সেতার আক্ষরিক অর্থেই আর কথা বলবে না।”
|
সুকন্যাকে চিঠি সনিয়ার |
রবিশঙ্করের প্রয়াণে তাঁর স্ত্রী সুকন্যাকে চিঠি লিখে শোক জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী। নেহরু-গাঁধী পরিবারের সঙ্গে রবিশঙ্করের যোগাযোগ জওহরলাল নেহরুর সময় থেকেই। সনিয়া লিখেছেন, “পণ্ডিত রবিশঙ্করের মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা ব্যক্তিগত ভাবে অনুভব করছি। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে আমাদের পরিবারের সম্পর্ক। তিনি, ইন্দিরাজি এবং রবিজি প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।” সুকন্যাকে চিঠিতে সনিয়া লিখেছেন, “রবিশঙ্করের সঙ্গীত অসংখ্য মানুষের কাছে আনন্দ, আলো, আরাম আর শান্তির প্রতীক।.... তাঁর মৃত্যুতে ভারত দেশের সব চেয়ে দামি রত্ন হারাল। আমরা শোকাহত। তবে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ করতে তিনি যা করেছেন, সঙ্গীতের সেই ধারা চিরকালীন হয়ে থাকবে।” সুকন্যাকে সনিয়ার বার্তা: “আপনি সারা জীবন তাঁর দেখাশোনা করেছেন। শেষ দিন পর্যন্ত তাঁর পাশ থেকে সরে যাননি। এটা মনে রাখলে শান্তি পাবেন। অনুষ্কা আর আপনাকে জানাই গভীর সমবেদনা।” |
|
|
|
|
|