খনির কাজ শুরু হল দামাগোড়িয়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
দশ দিনের যুদ্ধবিরতি। কুলটির দামাগোড়িয়া-চাপতোড়িয়া খনি প্রকল্পে কাজ শুরু করল বিসিসিএল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মাটি কাটার কাজ শুরু করেছে বিসিসিএলের ঠিকা দেওয়া একটি বেসরকারি সংস্থা। ‘চাপতোড়িয়া প্রজেক্ট জমিহারা কমিটি’র সভাপতি শুভাশিস মুখোপাধ্যায় জানান, সংস্থার সঙ্গে যেমন কথা হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ শুরুর প্রথম ১০ দিন কোনও রকম গোলমালের রাস্তায় যাবেন না তাঁরা। কিন্তু তার মধ্যে আশ্বাস মতো কাজ না হলে তাঁরা আসরে নামবেন।
কুলটির দামাগোড়িয়া অঞ্চলে ছ’টি মৌজার প্রায় ২২০ একর জমিতে একটি নতুন খোলামুখ খনি গড়ায় উদ্যোগী হয়েছে বিসিসিএল। আশপাশের ছ’টি গ্রামের প্রায় ৭০টি পরিবারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় জমি নিয়েছেন খনি কর্তৃপক্ষ। সোমবার মাটি কাটার কাজ করতে গিয়ে জমিদাতাদের বাধার মুখে পড়েন খনি কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, খনি কর্তৃপক্ষ তাঁদের জমি রেজিস্ট্রি করেননি এবং প্রতিশ্রুতি মতো জমির দাম ও নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি। সমস্যা মেটাতে দু’পক্ষই গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক করে। শেষে বুধবার ঠিক হয়, চাকরি যে দেওয়া হচ্ছে তার প্রমাণ হিসেবে দশ দিনের মধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের ডাক্তারি পরীক্ষার কাজ শেষ করে ফেলা হবে। এই আশ্বাস পেয়ে গ্রামবাসীরা প্রতিশ্রুতি দেন, সে ক্ষেত্রে আর বাধা দেওয়া হবে না। জমিও মাসখানেকের মধ্যে রেজিস্ট্রি করে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। |
বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রকল্প এলাকায় যন্ত্রপাতি এনে জোরকদমে মাটি কাটার কাজ চলছে। সাহায্য করতে দল বেঁধে হাজির হয়েছেন গ্রামবাসীরাও। কাজের দায়িত্ব পাওয়া বেসরকারি সংস্থাটির সাইট ম্যানেজার জয়প্রকাশ পটেল বলেন, “নির্বিঘ্নে কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষও সহযোগিতা করছেন।” বিসিসিএল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকল্প পুরোমাত্রায় চালু হয়ে গেলে এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থা পাল্টে যাবে। এলাকার উন্নয়নেও হাত লাগানো হবে বলে তাঁদের আশ্বাস।
স্থানীয় গ্রামবাসী তথা জমিদাতা শ্রীদাম মণ্ডল এ দিন বলেন, “প্রকল্প নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হওয়ায় আমরা মুষড়ে পড়েছিলাম। অবশেষে প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।” শুভাশিসবাবুরা অবশ্য এ দিনও দশ দিনের সময়সীমার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। |