নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
লেপচা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য দার্জিলিঙে পৃথক একটি উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি করছে সরকার। আজ, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পেশ হবে। প্রস্তাবিত উন্নয়ন পর্ষদটি কাজ করবে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের অধীনে। পর্ষদের সদর দফতর হবে কালিম্পঙে। পর্ষদ লেপচাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষিত করার পাশাপাশি তাঁদের শিক্ষা, বিভিন্ন পেশাগত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজের ব্যাপারেও তত্ত্বাবধান করবে।
গত বছর দার্জিলিঙে গোর্খা আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ (জিটিএ) গঠিত হয়েছে। তার আগে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদের জমানা থেকেই লেপচা সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের উন্নয়নে আলাদা করে নজর দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরও তাঁরা সেই দাবি নিয়ে কলকাতায় দরবার করেন। এমনকী, কালিম্পং মহকুমাশাসকের দফতরে ধরনাতেও বসেন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেওয়ায় লেপচারা শিলিগুড়িতে দুই দফায় সভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানান।
সরকারের এই উন্নয়ন পর্ষদ তৈরির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গোর্খা লিগ। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি বলেন, “লেপচারা পাহাড়ের বহু পুরোনো আদিবাসী সম্প্রদায়। তাঁদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা-সহ নানা জিনিস রয়েছে। এই ধরনের উন্নয়ন পর্ষদ তৈরি হলে তা আখেরেই ভালই হবে। লেপচাদের ঐতিহ্য বেঁচে থাকবে।” তবে উন্নয়ন পর্ষদ সরকারি গঠনের আগে এই নিয়ে ভাল বা খারাপ কোনও মন্তব্য করতেই চাইছেন না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চারা নেতারা। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “লেপচাদের ওই ধরনের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে রয়েছে জানি। তবে সরকার কী তৈরি করছে তা দেখার পরেই সেই সম্পর্কে আমরা মন্তব্য করব।” |