|
|
|
|
ভোগান্তি জনগণের |
মুখ্য ডাকঘরে ধর্মঘট কর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বামপন্থী কেন্দ্রীয় কর্মী সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের জেরে বুধবার দিনভর বন্ধ রইল তমলুকের মুখ্য ডাকঘর। হয়রানি হল জনসাধারণের। বিক্ষোভরত ডাককর্মীদের উপরে তৃণমূলের লোকেরা চড়াও হওয়ায় ছড়াল উত্তেজনাও। তবে বড়সড় কোনও গণ্ডগোল হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া পেনশন বিল বাতিল, শূন্যপদে নিয়োগ-সহ ১৫ দফা দাবিতে বুধবার বামপন্থী কর্মী সংগঠনের ডাকে দেশ জুড়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে ধর্মঘট পালিত হচ্ছিল। ধর্মঘটে সামিল হন তমলুক মুখ্য ডাকঘরের অধিকাংশ কর্মী। ডাকঘরের সামনে গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ ওই ডাকঘর খোলা হয়নি কেন জানতে চেয়ে এক দল তৃণমূল সমর্থক বামপন্থী কর্মীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। |
|
গ্রাহক আছে। কর্মী নেই। মুখ্য ডাকঘরে পার্থপ্রতিম দাসের ছবি। |
বাম কর্মী সংগঠনের স্থানীয় দুই নেতা অজয় মাইতি, শম্ভু ঘোড়ইকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। দু’পক্ষের বচসার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও কর্মীর অভাবে এ দিন ডাকঘরের কোনও কাজকর্ম হয়নি। তমলুক মুখ্য ডাকঘরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক শুধাংশুশেখর রায় বলেন, “কর্মীর অভাব ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় ডাক পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে।”
বামপন্থী কর্মী সংগঠনের নেতা মদন মাইতির অভিযোগ, “আমাদের সমর্থক অধিকাংশ ডাক-কর্মীরা মুখ্য ডাকঘরের সামনে গণতান্ত্রিক ভাবে ধর্মঘট পালন করছিল। তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে তা বানচালের চেষ্টা করেছে।”
তমলুক শহর তৃণমূলের সভাপতি দিব্যেন্দু রায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বামকর্মীরা ধর্মঘট পালন করার নামে ডাকঘর না খোলায় দুর্ভোগে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। মানুষই এর প্রতিবাদ করেছিলেন। আমাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।” |
|
|
|
|
|